যমুনার অয়েল ট্যাংকারে আগুনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির আরো এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মকর্তা হলেন যমুনার সহকারি মহাব্যবস্থাপক (টার্মিনাল) আবুল বাশার।
মঙ্গলবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষভাবে দায়ী হিসেবে তার নাম উঠে আসার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। প্রতিবেদনে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে প্রত্যক্ষভাবে অভিযুক্ত অপর কর্মকর্তা রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমানকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এদিকে, একইদিনে তদন্ত প্রতিবেদনে পরোক্ষভাবে দায়ী করা অপর দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিপিসি। নোটিশ প্রাপ্ত দুই কর্মকর্তা হলেন- যমুনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলীম উদ্দিন আহমেদ ও উপ-মহাব্যবস্থাপক কাজী মঞ্জুর আহমেদ।
বিপিসির চেয়ারম্যান ইউনুছুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং দু’জনকে কারণ দর্শাতে বলেছি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বিপিসির পরিচালক (বিপণন) রিজোয়ান হোসাইনের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে যমুনার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ী করা হয়।
এছাড়াও, প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সাতটি সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। উল্লেখযোগ্য সুপারিশ গুলো হলো- প্রত্যক্ষভাবে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, যমুনার টার্মিনালে লোকবল কাঠামো ঢেলে সাজানো, অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রপাতি-গাড়ি সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান, সেফটি কম্প্লায়েন্স অনুসরণ করা।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সংগঠিত ওই অগ্নিকাণ্ডে নয় শ্রমিক দগ্ধ হয়। এদের মধ্যে সাত জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং দুই জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
**চার কর্মকর্তাকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৪