চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মেডিকেল সেন্টারে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় এক ডাক্তারসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পর চবি মেডিকেল সেন্টার বন্ধ রয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে শাহ জালাল হলের সামনে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে বলে ছাত্রলীগের এক নেতা। পৌঁছতে দেরি হওয়ায় ড্রাইভার জগির আহমেদকে মারধর করে তারা।
তিনি বলেন,পরবর্তীতে ছাত্রলীগের ১০-১২জন নেতাকর্মী মেডিকেলে হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা পিয়ন তাজুল ইসলামকে মারধর করে। তাছাড়া তারা মহিলা চিকিৎসক কামরুন নেছা বেগমের কক্ষের দরজাও ভেঙে ফেলে।
ঘটনার পর ডাক্তার ও দায়িত্বরত কর্মকর্তারা চবি মেডিকেল বন্ধ করে চলে যায়। ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান চিকিৎসক ডা. সাইফুল্লাহ ।
বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর সিরাজ উদ দৌলা বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রলীগ কর্মী শেখ কামাল বলেন. ‘আমি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল যেতে জন্য দুপুর ১২টা থেকে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করা হলেও সন্ধ্যার পর তারা হলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। এ কারণে আমার বন্ধুদের সাথে মেডিকেলে ডাক্তারদের সামান্য তর্ক বিতর্ক হয়।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে দেরী হওয়াতে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্বরতদের বাকবিতন্ডা হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৪