চট্টগ্রাম: কাস্টমস কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা আখ্যায়িত করে এজন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার ফয়সাল মুরাদ।
রোববার বিকেলে কাস্টমস হাউসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দু:খ প্রকাশ করেন তিনি।
এতে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল হাকিম, নেয়াজুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সিএন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার এক সিএন্ডএফ কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানায় কর্মচারীরা। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য রোববার বৈঠকে ডাকা হয়।
বৃহস্পতিবার এজেন্ট অ্যানোসিয়েশনের নেতারা কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ আনলেও রোববার বৈঠকের পর বলেছেন দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।
ওই বিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি সিএন্ডএফ নেতারা।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও তখন কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার দাবি করেছিলেন অনিয়ম বন্ধে কঠোর হওয়াতেই তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রোববার বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন যুগ্ম কমিশনার ফয়সাল মুরাদ। ভবিষ্যতে এমন কোন ঘটনা ঘটবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ঘটনার দিন ঘুষ দাবির প্রতিবাদ করায় সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী হাওলাদার।
অবশ্য বৈঠকের পরে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। লেয়াকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তেমন কিছু না।
বাংলাদেশ সময়:১৯৫০ঘন্টা, মার্চ ০২, ২০১৪