চট্টগ্রাম: চেক প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের অভিযোগে মো.কামাল উদ্দিন (৪৭) নামে এক ভোগপণ্য আমদানিকারকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
পূবালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রতন কুমার শীলের দায়ের করা দু’টি মামলায় রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান এ পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার নগরীর খাতুনগঞ্জের পার্শ্ববর্তী আছাদগঞ্জের মেসার্স তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী। খাতুনগঞ্জের ধনাঢ্য আমদানিকারক শেখ আহমদ সওদাগর তার পিতা।
পূবালী ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী জাফর ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ঋণ পরিশোধের নামে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কয়েক দফা চেক দিলেও সেগুলো ডিজঅনার হয়। এক পর্যায়ে তাদের ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স তাবাসুস এন্টাপ্রাইজের নামে নেয়ার ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ১৮ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫’শ টাকার একটি চেক দেন কামাল উদ্দিন। চেকটি সংশ্লিষ্ট ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৩ অক্টোবর জমা দিতে গেলে সেটি ডিজঅনার হয়।
৩১ অক্টোবর অভিযুক্তকে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে তাগাদা দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় এ ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন পূবালী ব্যাংকের চাক্তাই মডেল শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক রতন কুমার শীল।
এদিকে ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ৩ অক্টোবর ৫৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫২ টাকার আরও একটি চেক পূবালী ব্যাংকে দেন কামাল উদ্দিন। চেকটি সংশ্লিষ্ট ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৯ অক্টোবর জমা দিতে গেলে সেটি ডিজঅনার হয়।
৩১ অক্টোবর অভিযুক্তকে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে তাগাদা দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় এ ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর রতন কুমার শীল বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ঘণ্টা, মার্চ ০২,২০১৪