চট্টগ্রাম: জামায়াতের ঘাঁটি সাতকানিয়া-লোহাগাড়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় নিহত ২৫ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেক পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ১০ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী অনুদানের চেক তাদের হাতে তুলে দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবু বকর ও আলী হায়দার নামে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজের নামফলক উন্মোচন ও কমিশনিং করেন।
এসময় সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলায় ভারতের বিরুদ্ধেও জেতার আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে মায়ানমারের সঙ্গে জিতেছি, ভারতের সঙ্গেও জিতব।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলেও ঘোষণা দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর) মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমান নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাটিতে পৌঁছেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সাতকানিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যস্ততার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর থেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা।
এছাড়া জামায়াত নেতাদের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার পর এবং হরতাল, অবরোধের নামে বিভিন্ন সময় নিরীহ লোকজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ঘণ্টা, মার্চ ০১,২০১৪