চট্টগ্রাম: রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েলের ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডেরর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। শনিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দগ্ধ শ্রমিকদের দেখতে এসে এ উদ্বেগের কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনার পর পরই খোঁজ খবর নিয়েছি। সকালেই চট্টগ্রামে চলে আসি।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ শ্রমিকদের দেখতে এসে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘দগ্ধ শ্রমিকদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন আমি। চেয়েছিলাম তাদের ঢাকায় নিয়ে যেতে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন এই মুহুর্তে মুভ করা ঠিক হবে না। তাই ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে না। তবে এখানে যাতে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয় সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি বলেন,‘শ্রমিকদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় যমুনা অয়েল বহন করবে। তাছাড়া সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য লোক রাখা হয়েছে। ’
প্রতিমন্ত্রী হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করে দেখেন এবং রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহীদুল গণি।
যমুনা অয়েল ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ শ্রমিক মো. শামসুলের(৫০) শরীরের ৪০ শতাংশ, খায়ের আহমেদ(৫০) এর ১৫ শতাংশ, মো. জামশেদ (৪৫) এর ২৮ শতাংশ, মো. হাসান(২৫) এর ৩০ শতাংশ, মো. লোকমানের(৩৬) দশ শতাংশ, মো. জবিহ উল আলমের(৪০) ৩১ শতাংশ, মো. নাজিমের(৪০) ৩৭ শতাংশ, মো. জামালের(৪৫) ৫ শতাংশ, মো. আবদুর রহিমের(৩০) ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিশমা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন,‘আহত নয়জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। আমরা তাদের সারিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি । ’
** প্রতিমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তদন্ত কমিটি গঠন
** যমুনার অয়েল ট্যাংকারে আগুন, দগ্ধ ৯
বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৪