ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মায়ানমারের সঙ্গে জিতেছি, ভারতের সঙ্গেও জিতব’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৪
‘মায়ানমারের সঙ্গে জিতেছি, ভারতের সঙ্গেও জিতব’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলায় ভারতের বিরুদ্ধেও জেতার আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধ জাহাজের কমিশনিং অনু্ষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে মায়ানমারের সঙ্গে জিতেছি, ভারতের সঙ্গেও জিতব।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, মায়ানমারের সঙ্গে ৩৮ বছরের সমুদ্র বিরোধের অবসান হওয়ায় আমরা বঙ্গোপসাগরে দু’শ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একান্ত অর্থনৈতিক এলাকার আইনগত অধিকার লাভ করেছি। একই প্রচেষ্টায় এ বছরেই ভারতের সাথে সমুদ্র সীমানা নিয়ে বিরোধের মিমাংসা করে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করব।


নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে দু’টি সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে যা ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে। পটুয়াখালীর রামনাবাদ এলাকায় নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাটি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলেও ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১২টি জাহাজ আমাদের সরকারের আমলে নৌবাহিনীতে সংযুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার এই সেক্টরে দক্ষ জনবল তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর সদস্যদের চেইন অব কমাণ্ড বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি আশা করি, আপনারা উচ্চতর কর্মদক্ষতা, শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমাণ্ড বজায় রেখে পেশাগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে নৌবাহিনীর মর্যাদাকে সর্বদা সমুন্নত রাখবেন।

অনুষ্ঠানে তিন বাহিনী প্রধান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আবু বকর ও আলী হায়দার নামে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজের নামফলক উন্মোচন ও কমিশনিংয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চট্টগ্রামে আসেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর) মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমান নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাটিতে পৌঁছেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।

নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজের নামফলক উন্মোচন ও কমিশনিংয়ের পর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সহিংসতায় হতাহত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সাতকানিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যস্ততার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ঘণ্টা, মার্চ ০১,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।