ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘লড়াই, সংগ্রামের স্বীকৃতি পেয়েছে উদীচী’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪
‘লড়াই, সংগ্রামের স্বীকৃতি পেয়েছে উদীচী’

চট্টগ্রাম: উদীচী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে রাজপথে লড়াই, সংগ্রাম করে। উদীচী গান গেয়ে মানুষকে জাগরণের আহ্বান জানায়।

বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশ গড়তে উদীচী দশকের পর দশক ধরে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। একুশে পদক প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে উদীচী তার লড়াই-সংগ্রামের স্বীকৃতি পেয়েছে।


শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে উদীচী’র একুশে পদক প্রাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও সমাজবিজ্ঞানী ড.অনুপম সেন এসব কথা বলেছেন।  

তিনি বলেন, একুশে পদক আমিও পেয়েছি। উদীচীও পেয়েছে। এ এক অনন্য প্রাপ্তি। এ প্রাপ্তির আনন্দ অপরিসীম। তবে ব্যক্তিগত প্রাপ্তি আর সংগঠনের প্রাপ্তি ভিন্ন। একটি সংগঠনকে সঠিক পথে যারা এগিয়ে নিয়ে যান, পুরস্কার প্রাপ্তিতে সেই সংগঠনের নেতৃত্ব আরও এগিয়ে যাবার শক্তি পান।

ড.অনুপম সেন বলেন, উদীচীকে জন্মলগ্ন থেকেই দেখেছি আদর্শের প্রতি অবিচল। উদীচীর শিল্পীসংগ্রামীরা মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোন আপোষ করেনা। প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদীচী বদ্ধপরিকর। একুশে পদক প্রাপ্তি সকল সংস্কৃতিকর্মী, সকল শিল্পীসংগ্রামীর জন্য গৌরবের। একুশে পদক উদীচীর জন্য অবিচল পথচলার অনুপ্রেরণা।

তিনি বলেন, উদীচীর যে সংগ্রাম, যে লক্ষ্য-আদর্শ, সেই আদর্শকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের ধারণ করতে হবে। সংস্কৃতির আলো দিয়ে অন্ধকারের শক্তিকে পরাভূত করতে হবে। তবেই এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশ হবে।



উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারি শফি’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মো.শাহআলম, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি ডা.এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, সঙ্গীতজ্ঞ মিহির কুমার নন্দী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ ও অমল কান্তি নাথ এবং প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান।

মিহির কুমার নন্দীর সুরে একুশের গান এবং গণসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলোচনা সভা শেষে উদীচীর প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক গণসঙ্গীত শিল্পী রবিন দে বর্তমান সভাপতি মুশতারি শফি’র হাতে অভিনন্দন পত্র তুলে দেন।

এরপর মুশতারি শফি উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সকল সংগঠক, শিল্পী, কর্মীদের হাতে অভিনন্দন পত্র তুলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।