চট্টগ্রাম: ককটেল উদ্ধার করে ঘটনাস্থলে নিস্ক্রিয় না করে থানায় নিয়ে আসে নগরীর পাহাড়তলী থানা পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল থানায় গিয়ে সেগুলো নিস্ক্রিয় করে।
কিন্তু এক পর্যায়ে জব্দ তালিকা করতে গিয়ে সাদা ফসফরাস ও লাল ফসফরাস জাতীয় বিস্ফোরক মিশিয়ে ফেলে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
মূলত বিস্ফোরক সরঞ্জাম নিয়ে অনভিজ্ঞতার কারণেই নগরীর পাহাড়তলী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বিস্ফোরণে পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও সেকেন্ড অফিসার এস আই ফজলুর রহমান গুরুতর আহত হন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘হোয়াইট ফসফরাস আর রেড ফসফরাস সংস্পর্শে আসার ফলে বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশে ইট, কাঁচের টুকরা ছিল। বিস্ফোরণে সেগুলো পুরো কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দু’জন আহত হয়েছেন। ’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ককটেলগুলো উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে নিস্ক্রিয় করার জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ টিমের এস আই সন্তোষ কুমার চাকমাকে খবর দেয়া হয়।
কিন্তু বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ককটেলগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া ককটেলগুলো খালি স্থানে না রেখে থানায় কক্ষের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাহাড়তলী থানার ওসি আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ককটেলগুলো উদ্ধার করার পরই ডিবি’র টিমকে খবর দিই। কিন্তু ডিবি’র টিমও তো মাত্র একটা। তাদের যেতে দেরি হওয়ায় ককটেলগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডিবি’র টিম থানায় যাবার পরই বিস্ফোরণ হয়। ’
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর এ কে খান মোড়ে মোস্তফা কলোনিতে অভিযান চালিয়ে ৩টি ককটেল, একটি এলজি ও একটি কার্তুজসহ বশির নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাহাড়তলী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পাহাড়তলী থানার ওসি বাংলানিউজকে জানান, বিস্ফোরণে আহত পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীরকে চমেক হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে চোখের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। আহত এস আই ফজলুরকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকামুক্ত।
বিস্ফোরণের ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭,২০১৪