চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড‘র (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা। এসময় তারা আর্থিক জরিমানারও সমালোচনা করেছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কসপ ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা। বৃহস্পতিবার চেম্বার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রামের ৫৪টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন কর্মসংস্থানসহ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে উল্লেখ করে পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ঢাকা ও অন্যান্য জেলার সিএনজি স্টেশনসগুলো ৬ ঘন্টার পরিবর্তে ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকে এবং সিলেট অঞ্চলে ২৪ ঘন্টা গ্যাস চালু রাখা হয়েছে। কেবল বন্দর নগরী চট্টগ্রামেই ব্যতিক্রম।
কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে। যা স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘœ ঘটাচ্ছে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসায়ীদের দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি উল্লেখ করে বলেন, এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের উপর অযথা হয়রানী কোনভাবে সহ্য করা হবে না।
চিটাগাং চেম্বার, কেজিডিসিএল এবং ওনার্স এসোসিয়েশন প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে অসাধু সিএনজি ব্যবসায়ীদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রয়োজনে শাস্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন।
চেম্বার সভাপতি এ সমস্যার সমাধানে অতি সত্ত্বর সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। তিনি চট্টগ্রামের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের সমালোচনা করেন এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের অভাবে সিএনজি ছাড়াও এ অঞ্চলের রপ্তানিমুখী তৈরীপোশাক খাত, আবাসন, স্টীল ও রি-রোলিং মিলসমূহের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, মূলধনী যন্ত্রপাতি বিনষ্ট, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান হ্রাস এবং ঋণ খেলাপীসহ বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানান।
সভায় বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কসপ ওনার্স এসোসিয়েশনে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. ফরিদুল আলম, উপদেষ্টা নূর মোহাম্মদ, কার্যকরী সদস্য মো. মোবারক হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আসিফ হাসান ও মো. জিয়া উদ্দিন আসিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়:১৭৪০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪