চট্টগ্রাম: বন্দর সংরক্ষিত এলাকা থেকে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে কন্টেইনার পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
এছাড়া পণ্য খালাসের দায়িত্বে থাকা দুই সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মকর্তাকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পদিবার দুপুরে নগরীর বন্দর থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-২২) দায়ের করেন।
নগরীর বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বন্দর থেকে কন্টেইনার পাচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এতে বন্দরের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরস্পর যোগসাজোশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত জেটি এলাকা আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার পাচার ও ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের ৬জন, নিরাপত্তা বিভাগের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট‘র দুইজনসহ মোট ১৭জনকে আসামী করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪০৯, ৩৮০, ৪৬১, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।
মামলার আসামীরা হলেন- মো. হুমায়ুন কবির, অধীর কান্তি চক্রবর্তী, প্রদীপ কুমার মহাজন, মোস্তাফিজুর রহমান, শ্যামল কৃষ্ণ ভৌমিক, মো. আতিকুর রহমান, ছালেহ জহুর, সাবেক এটিআই চবক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), নিরাপত্তা বিভাগের সিরাজুল হক মোল্লা, এএসআই মো. আলী আজম চৌধুরী, মো. মনির আহম্মদ, মো. ছগির আহম্মদ, মো. হারুন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার সিএন্ডএফ এজেন্ট এবকো এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো আলম শাহ এবং এবকো এন্টার প্রাইজের জেটি সরকার বরুন কান্তি সেন।
বাংলাদে সময়:১৫০০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪