ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুকুর লেলিয়ে হত্যা মামলায় বাদির ফের জেরা ৪ মার্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪
কুকুর লেলিয়ে হত্যা মামলায় বাদির ফের জেরা ৪ মার্চ

চট্টগ্রাম: কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলার বাদি ও হিমু’র মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিতকে বুধবার আবারও জেরা করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় আদালত আগামী ৪ মার্চ  পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মূলতবি করেছেন।



আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বাদি অসিতকে আসামী জাহিদুর রহমান শাওনের আইনজীবী জেরা করেন। এসময় আইনজীবী খোরশেদ আলম অসিত দাশ হিমুর মায়ের আপন ভাই কিনা, আপন ভাই কয়জন, তাদের বাসা কোথায়, বাদির ছেলে কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন এসব বিষয়ে জেরা করেন।


মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ আসামীর মধ্যে প্রথম আসামীর পক্ষে জেরা অব্যাহত আছে। ৪ ও ৫ মার্চ আবারও বাদিকে জেরা করবেন আসামীর আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদি শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত প্রথম দফা সাক্ষ্য দেন।

মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।  

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক মাসের মাথায় আসামী শাহাদাৎ হোসাইন সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর শাহ সেলিম টিপু ও ছেলে রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনজনই জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। বাকি দু’জন শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ অক্টোবর পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম।  

ওই আদালত থেকে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে মামলাটির নথি নভেম্বরের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে এবং অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad