চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছির আহমদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনার সময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং পটিয়ার সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পটিয়া থানার ওসি মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শেখ আহমদ এবং দেলোয়ার হোসেন খোকা নামের দু’জন নেতার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
সাংসদসহ দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রচারণা চালিয়ে গাড়িতে উঠার পর মারামারি শুরু হয় বলে ওসি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগের পর কাত্যায়নী সংঘের মাঠে জড়ো হন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষে মারামারি শুরু হয়।
মারামারি শুরু হলে আওয়ামী লীগ নেতারা দ্রুত গাড়িতে উঠে ওই স্থান ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় মোর্শেদ (২৭) ও আরিফ (২৮) নামে দু’জনকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আরও ৩-৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কাত্যায়নী সংঘের মাঠে কাপ-পিরিচ মার্কায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছির আহমদের গণসংযোগের সময় মারামারি হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
উল্লেখ্য আগামী বৃহস্পতিবার পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে নাছির আহমদকে তাদের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তিমির বরণ চৌধুরীও। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে সম্প্রতি দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪