ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি ২ মার্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪

চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার উপর শুনানি পিছিয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী অভিযোগপত্রে নাম না থাকা এজাহারভুক্ত আসামীদের বিষয়ে বক্তব্য দেবেন বলে জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান আগামী ২ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলীকে এ বিষয়ে বক্তব্য জানানোর আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মামলার এজাহারে দু’জন আসামীর নাম থাকলেও তদন্তের পর অভিযোগপত্রে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। আমি আদালতের কাছ থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য জানানোর অনুমতি পেয়েছি।

হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ‍যায়।

মঙ্গলবার এ মামলার অন্যতম আসামী মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে মুফতি হারুনকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়। আর হাইকোর্ট থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে থাকা মুফতি ইজহারুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে আদালতে সশরীরে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি আসামীদের মধ্যে হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ ইছহাক, মনির হোসেন, আবদুল মান্নান, তফসির আহমেদ ও মোহাম্মদ জুনায়েদকে আদালতে হাজির করে ‍পুলিশ। আবদুল হাই ওরফে সালমান নামে আরেক আসামী পলাতক আছেন।

মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বাকি দু’টি মামলা এখনও তদন্তাধীন আছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

মুফতি ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি। নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।