রাঙামাটি: রাঙামাটি শহর থেকে নৌপথে কিংবা সড়ক পথে -দু’ভাবেই যে উপজেলাগুলোতে যাওয়া যায়, তারই একটি নানিয়ারচর উপজেলা। ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পাহাড়ে যে উপজেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে শান্তিচুক্তি বিরোধী হিসেবে পরিচিত আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সেই উপজেলার নাম নানিয়ারচর।
এখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সবখানেই ভোটের ফলাফলে দলটির ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকে।
বিএনপির প্রার্থীবিহীন এই উপজেলায় এবার চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের ধর্মেশ খীসা, ইউপিডিএফের সুপন চাকমা, জনসংহতির (এমএনলারমা) শক্তিমান চাকমা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী পঞ্চানন চাকমা।
তবে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউপিডিএফ প্রার্থী সুপন আর জনসংহতির শক্তিমান। ধারণা করা হচ্ছে এই দু’জনের মধ্যেই মূল লড়াইটা হবে। ইউপিডিএফ ও সংস্কারের দুর্গ বলে খ্যাত ওই উপজেলায় আওয়ামী লীগের অবস্থান এর পরেই।
ইউপিডিএফ প্রার্থী সুপন চাকমা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানিয়ে ভোটের সামগ্রিকচিত্রে প্রশাসনের ভূমিকাও নিরপেক্ষ বললেন। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে তিনি অবশ্যই জয়যুক্ত হবেন।
জনসংহতির (এমএন লারমা) প্রার্থী শক্তিমান চাকমা নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানালেও সাধারণ ভোটাররা আদৌ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
২৮ হাজার ৮৩১ জন ভোটার ১৪টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কমলা সেন চাকমা, ঝিল্লোল চাকমা, বিনায়ক দেওয়ান ও রণবিকাশ চাকমা লড়ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোয়ালিটি চাকমা, জিনু প্রভা খীসা ও তনুশ্রী দেওয়ান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
জেলা রির্টানিং অফিসার রফিকুল করিম জানান, এরইমধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫. ২০১৪