ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিশ্বকাপের নিরাপত্তা

ভিক্ষুক-হকার-দোকানদার-শ্রমিকদের তথ্য নিচ্ছে পুলিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪
ভিক্ষুক-হকার-দোকানদার-শ্রমিকদের তথ্য নিচ্ছে পুলিশ

চট্টগ্রাম: টি টুয়েণ্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার ভাসমান দোকানদার, ভিক্ষুক, হকার, স্থায়ী-অস্থায়ী স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকদের ছবিসহ তালিকা তৈরি করছে পুলিশ।

খেলা চলাকালীন সময়ে বিদেশি খেলোয়াড়রা যেসব এলাকা দিয়ে যাতায়াত করবেন, সেসব এলাকায় এ তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

তথ্য সংগ্রহের পর তা যাচাই-বাছাই করবে পুলিশ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-পশ্চিম) এস এম তানভির আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, হোটেল থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত রুটে খেলোয়াড়দের আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমরা এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থানকারী হকার, ভিক্ষুক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের তথ্য সংগ্রহ করছি।


আগামী ১৬ মার্চ থেকে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিভিন্ন ম্যাচ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ৮ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে অবস্থান করবেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের নগরীর পেনিনসুলা ও আগ্রাবাদ হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এবং সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব এলাকা দিয়ে খেলোয়াড়রা আসা-যাওয়া করবেন সেগুলো হচ্ছে, জিইসি মোড়, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, বাদামতল মোড়, আগ্রাবাদ ব্যাংক পাড়া ও হোটেলের আশপাশ, লাকী প্লাজা, বড় পোল হয়ে সাগরিকা স্টেডিয়াম। জিইসি মোড় থেকে একে খান হয়ে সাগরিকা স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিকল্প এলাকাও খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে।

এছাড়া পেনিনসুলায় অবস্থানকারী খেলোয়াড়দের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে জিইসি থেকে ইস্পাহানি মোড় হয়ে সরাসরি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হবে। আর আগ্রাবাদ হোটেল থেকে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, টাইগারপাস, ইস্পাহানি মোড় হয়ে সরাসরি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ঢুকবে খেলোয়াড়দের বহনকারী গাড়ি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যেসব এলাকা দিয়ে খেলোয়াড়রা যাতায়াত করবেন সেসব এলাকা নগরীর কোতয়ালী, চকবাজার, ডবলমুরিং, হালিশহর, পাহাড়তলী এবং আকবর শাহ থানা এলাকায় পড়েছে। প্রত্যেকটি থানার পক্ষ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য দু’টি করে টিম করা হয়েছে।

নগর পুলিশের এডিসি এস এম তানভির আরাফাত বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনের নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, পেশা, ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে টিপসই অথবা স্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্য যাচাইবাছাইয়ের পর তাদের ক্রমিক নম্বর ও ছবি দিয়ে তালিকাভুক্ত করা হবে।

গত চারদিন ধরে চলা পুলিশের এ কার্যক্রম আরও কমপক্ষে চার-পাঁচদিন চলবে বলে তানভির আরাফাত জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।