ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেএমবি-হিযবুত-জামায়াতের উপর কঠোর নজরদারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪
জেএমবি-হিযবুত-জামায়াতের উপর কঠোর নজরদারি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ময়মনিসংহের ত্রিশালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জঙ্গীসহ তিন জেএমবি ক্যাডারকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দি হিসেবে  থাকা জেএমবি, হিযবুত তাহরীর এবং জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের নজরে রাখতে সাত সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

 

অন্যদিকে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে কারাগারসহ আশাপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে আসামীদের আনানেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

 

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ত্রিশালে জঙ্গীদের ছিনতাইয়ের পর উচ্চ পর্যায় থেকে কারাগারের আশপাশের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ এসেছে। সে হিসেবে আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি। প্রাথমিকভাবে কারাগারের আশপাশে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

কারা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কারাগারে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর ১৫ জন সদস্য আছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের সদস্য আছে ৮ জন।

 

এছাড়া সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য নিন্দিত জামায়াত-শিবিরের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

ctg_jal

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো.ছগীর মিয়া বাংলানিউজকে জানান,  জেএমবি ও হিযবুত তাহরীরের জঙ্গীদের আলাদাভাবে বিভিন্ন সেলে রাখা হয়। তাদের সেলের সামনে নায়েক পদমর্যাদার কারারক্ষী সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েন থাকে। কিন্তু ময়মনসিংহের ত্রিশালে জঙ্গী ছিনতাইয়ের পর হাবিলদার পদমর্যাদার কারারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

 

এছাড়া কারাগারের অভ্যন্তরে ডেপুটি জেলারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যরাই জঙ্গীদের নির্দিষ্ট সেলে রাখা, তাদের আচরণ, কর্মকাণ্ড, আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় তদারক করবেন বলে জানান ছগীর মিয়া।

 

এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের জঙ্গীদের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরও নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানান জেল সুপার।

 

এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে ত্রিশাল উপজেলার সাইন বোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে জেএমবি’র তিন জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।

 

ছিনিয়ে নেয়া তিন জেএমবি সদস্য হল, সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮), জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান (৩৫) এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ (৩৫)।

 

এ ঘটনায় পুলিশের ওই প্রিজন ভ্যানের চালক পুলিশ কনস্টেবল আতিকুল ইসলাম (৩০) নিহত হন। আহত হন আরও দু’পুলিশ সদস্য।

 

চট্টগ্রাম আদালতে বই বোমা ছুঁড়ে বিচারককে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বোমা মিজানকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩,২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।