ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এখনই সময়, জঙ্গীদের প্রতিরোধ করুন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪
এখনই সময়, জঙ্গীদের প্রতিরোধ করুন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: জঙ্গীবাদ নির্মূলের এখনই সময় উল্লেখ করে তা প্রতিরোধে সরকারের উদাসীনতার কঠোর সমালোচনা করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রগতিশীল গণসংগঠনের নেতারা। একইসঙ্গে এখনই জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ কর‍া না গেলে বাংলাদেশ অচিরেই পাকিস্তান কিংবা আফগান্স্তিানে পরিণত হবে বলেও সরকারকে সতর্ক করেছেন তারা।



শনিবার বিকেলে নগরীর চেরাগি চত্বরে বিভিন্ন প্রগতিশীল গণসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে সংগঠকরা এসব কথা বলেন।

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের ডাক দিয়ে এ পতাকা মিছিলের আয়োজন করে উদীচী, খেলাঘর, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গণসংগঠন।


উদীচী’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা.চন্দন দাশের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাঘরের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক রাশেদ হাসান, কবি আশীষ সেন, যুব ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি আরিফউল্লাহ হাই, খেলাঘরের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রেজাউল করিম এবং জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধর।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির, ১৩ দফা দাবি আদায়ের নামে হেফাজতে ইসলামসহ মৌলবাদী শক্তি দেশব্যাপী একের পর এক সাম্প্রদায়িক সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি, কঠোরভাবে ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিহত করুন, মৌলবাদীদের দমন করুন।

বক্তারা বলেন, আমরা দু:খের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সরকার কখনও উদ্দেশ্যহীনভাবে তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য, বিবৃতি দিয়েছে। আবার কখনও ভোটের হিস্যা মাথায় রেখে তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নৈতিক অবস্থান থেকে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ কখনও নেয়নি। যার ফলে নির্বাচনের পূর্বাপর ধর্মীয় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।

বক্তারা আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আবার ধর্মীয় অপশক্তির সঙ্গে আপোষ করেন। আপনারাই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় আঘাত করেন। আপনাদের সহনশীল মনোভাবের কারণেই উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত-হেফাজত মানুষকে বিভ্রান্ত করে জিতে আসার সুযোগ পেয়েছে।

বক্তারা বলেন, আমাদের জাতীয় পতাকা অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি। এ পতাকা উগ্রবাদী জঙ্গীরা খামচে ধরবে সেটা দেশের মানুষ সহ্য করবেনা। এখনও সময় আছে, জঙ্গীদের প্রতিরোধ করুন।

তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। মানুষকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। মানুষ রাস্তায় নামলে যত বড় রাজনৈতিক দলই হোক, আপোষকামীদের অস্তিত্ব মুছে যাবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সিপিবি’র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, নারীনেত্রী রেখা চৌধুরী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রূপক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা দেবাশীষ সেন, রিপায়ন বড়ুয়া, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তরুণ উদ্যোগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল দাশ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে শেষে জাতীয় পতাকা নিয়ে একটি মিছিল নগরীর চেরাগি পাহাড় থেকে শুরু হয়ে আন্দরকিল্লা হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।