ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চট্টগ্রামের হাসপাতালে ভর্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪
স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চট্টগ্রামের হাসপাতালে ভর্তি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: কুমিল্লা থেকে উদ্ধার হওয়া অপহৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরীকে কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার ৪টা ৫৫মিনিটে দিকে চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডের বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।



এসময় তাকে বিধ্বস্ত দেখা গেছে। তিনি কান্না করছিলেন।
এসময় তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পুলিশ ওই হাসপাতালটি ঘিরে রাখে। তার সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা বলতে দেননি।

এর আগে সোমবার ভোরে ৬টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার থেকে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
 
সোমবার ভোর পৌনে ৪টায় মৃদুলকে কংশনগর এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় কৃষি জমিতে ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে আহত অবস্থায় মৃদুল কংশনগর বাজারে এলে বাজারের নৈশপ্রহরী হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দেবপুর ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।

নৈশপ্রহরী হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল আমার মোবাইল ফোন দিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে মৃদুলের পরিবারের লোকজন চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশ কুমিল্লার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ বিশ্বাসকে জানালে তিনি আমার বাড়ি থেকে মৃদুলকে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ মৃদুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের পাঁচ সদস্যের একটি দল ও মৃদুল চৌধুরীর ভাই শিমুল চৌধুরী কুমিল্লায় যান।

মৃদুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় দোকানে যাওয়ার উদ্দেশে আমি ও আমার ছোট ভাই জুনু বাড়ি থেকে বের হই। দোকানের কাছাকাছি আসার পর একটি নোহা মাইক্রোবাস এসে আমার সামনে দাঁড়ায়। পরে মাইক্রেবাস থেকে কয়েকজন লোক (সিভিল পোশাক পরিহিত ছিল) নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে গাড়িতে উঠতে বলেন। আমি ভাবলাম যদি গাড়িতে না উঠি তাহলে হয়তো গুলি করতে পারে। তাই আমি গাড়িতে উঠি। এরপর তারা আমাকে মুখোশ পরিয়ে দেন। তা দেখে জুনু বাইরে থেকে চিৎকার শুরু করেন। ততক্ষণে গাড়িটি ছেড়ে দেয়। গাড়ি ছাড়ার আধঘণ্টা পর আরেকটি গাড়িতে আমাকে ওঠানো হয়। এভাবে তিনটি গাড়ি পরিবর্তন করেন তারা। পুরো সময় আমার চোখ বাঁধা ছিল। রাত ১০টার দিকে আমাকে তিন তলা একটি বাড়িতে ওঠানো হয়। আসলে এটি বাড়ি নাকি অন্য কিছু তা জানিনা।

তিনি আরো বলেন, এই ছয়দিনে আমাকে খাওয়া-দাওয়া করতে দেওয়া হয়। তবে দুইদিন পর থেকে আমাকে গালি-গালাজ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সোমবার ভোরে আমাকে চোখ বেঁধে একটি কৃষি জমিতে ফেলে তারা চলে যান। এই ছয়দিন আমার চোখ বাঁধা ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০১৪

* চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ী কুমিল্লায় উদ্ধার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।