ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুনের মামলায় ছয় যুবলীগ নেতাকর্মী কারাগারে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪
খুনের মামলায় ছয় যুবলীগ নেতাকর্মী কারাগারে

চট্টগ্রাম: রেলওয়েতে টেন্ডারবাজি নিয়ে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় আলোচিত যুবলীগ ক্যাডার খোকন চন্দ্র তাঁতী ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলী হোসেনসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির মুরাদ খুনের ঘটনায় সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আহমেদ সাঈদের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আলী হোসেন ও খোকন তাঁতীসহ ছয় যুবলীগ নেতাকর্মী।

আদালতে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।


কারাগারে যাওয়া বাকি চারজন হল, যুবলীগ কর্মী জিয়াউল প্রকাশ সোহাগ, মো.মাসুম, মো.সুমন এবং সাইফুল।

আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি আসামীরা উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য গেলে তাদের ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ (সোমবার) তারা আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর গভীর রাতে পাহাড়তলী রেলক্রসিং এলাকায় নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির মুরাদ খুন হন। এ ঘটনায় মুরাদের স্ত্রী বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় যুবলীগ ক্যাডার খোকন চন্দ্র তাঁতী, আলী হোসেনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

৩০ অক্টোবর এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আবছার উদ্দিন রিয়াদ (২৪) নামে এক আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, খোকন চন্দ্র তাঁতী ও আলী হোসেনসহ কারাগারে যাওয়া যুবলীগের ৬ জন রেলওয়ের টেন্ডারবাজিতে জোড়া খুনের ঘটনায় বহিস্কৃত কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর বাবরের অনুসারী।

খুনের শিকার হুমায়ন কবির মুরাদও একসময় বাবরের অনুসারী ছিলেন। মুরাদ ঠিকাদারি এবং বিলবোর্ড ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আলী হোসেনের সঙ্গে ঠিকাদারি ব্যবসা এবং টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে মুরাদ খুন হন।

২০১৩ সালের গত ২৪ জুন বেলা পৌনে ১২টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দেড় কোটি টাকার টেন্ডারকে কেন্দ্র করে নগরীর সিআরবি এলাকার সাত রাস্তার মোড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ দু’জন নিহত হয়। নিহতরা হল, সাজু পালিত (২৮) ও আরমান হোসেন (৮)।

সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং নগর আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছিরউদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লিমনের ক্যাডারদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার দু’দিনের মাথায় বাবর, খোকন চন্দ্র তাঁতীসহ ৬ জনকে ঢাকার গুলশানে একটি বাসায় আত্মগোপনরত অবস্থা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর জামিন পেয়ে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্ত হন। আর খোকন চন্দ্র তাঁতী মুক্ত হন ২৪ অক্টোবর।

মুক্ত হওয়ার চারদিনের মাথায় সংঘঠিত আরেকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে খোকন তাঁতীসহ তার অনুসারীদের সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।