ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিসি ট্রাফিকের ঘুষ দাবির সত্যতা মেলেনি, বাদির নারাজি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪
ডিসি ট্রাফিকের ঘুষ দাবির সত্যতা মেলেনি, বাদির নারাজি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (উত্তর) সাবেক উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। সোমবার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন মামলার বাদি।



চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পক্ষে দাখিল করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনের উপর ১৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) শুনানির সময় ধার্য করা হয়েছিল।
নির্ধারিত দিনে বাদিপক্ষে নারাজি আবেদন দাখিল করা হলে আদালত আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি নারাজির উপর শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন।

গত ২ জানুয়ারি এজাহার মিয়া নামে এক অটোরিক্সা চালক চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ঘুষ দাবির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযুক্ত নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনের সাবেক উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান বর্তমানে নগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত অপর দু’কর্মকর্তা হলেন, ট্রাফিক পরিদর্শক মীর নজরুল ইসলাম ও ট্রাফিক সার্জেণ্ট মামুনুল হক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে সীতাকুণ্ডের চালক এজাহার মিয়া একটি সিএনজি অটোরিক্সা (চট্টমেট্রো-থ-১১-৬৮৫১) কেনেন। ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি নগরীর পাহাড়তলী থানার বার কোয়ার্টার এলাকা থেকে অটোরিক্সাটি চুরি হয়।

২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল ট্রাফিক পুলিশ ওয়াসার মোড় থেকে একই নম্বরের দু’টি সিএনজি অটোরিক্সা (চট্টমেট্রো-থ-১১-২৯৫৭) উদ্ধার করেন। এজাহারের দাবি, এর মধ্যে একটি অটোরিক্সা ছিল তার। তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের যোগাযোগ করলেও কুসুম দেওয়ানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

কিন্তু তিনি ঘুষ না দেয়ায় তাকে গাড়ি ফেরত না দিয়ে ভূয়া মালিক সৃষ্টি করে আরেকজনকে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া গাড়ি ফেরত চাওয়ার অপরাধে ভূয়া ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে তাকে জালিয়াতি মামলার আসামী করা হয়।

এসব ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে এজাহার মিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১৬১, ১৬৫ (ক) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।