ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘তারা আল্লাহ-রসূলের সাথে বেয়াদবি করেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪
‘তারা আল্লাহ-রসূলের সাথে বেয়াদবি করেছে’

চট্টগ্রাম: লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় সিরাতুন্নবী মাহফিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার বর্ণনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। সাংসদ এ হামলাকে ‘আল্লাহ, রসূলের সাথে বেয়াদিব বলে’ মন্তব্য করেছেন।



রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নদভী বলেন, ‘আমি মঞ্চে উঠে চেয়ারে বসার সাথে সাথে হাজার হাজার স্যান্ডেল, জুতা, পাথর মঞ্চে ছুঁড়ে মারতে থাকে। কিন্তু আল্লাহর উপর হাজার শুকরিয়া-আমার গায়ে জুতা, স্যান্ডেল পড়েনি।
কোন পাথরও পড়েনি। আমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেছি। সেজন্য তারা অনেক কিছু নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু কিছুই আমার গায়ে পড়েনি। ’

নদভী বলেন, সেদিন ঘটনা ঘটিয়েছে এক হাজারের মত স্থানীয় ক্যাডার এবং তিন থেকে চার হাজার বহিরাগত ক্যাডার। বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রাম, মহেষখালী, কুতুবদিয়া, সাতক্ষীরা থেকে ক্যাডারদের এনে আমার উপর হামলা করার জন্য জড়ো করা হয়েছিল।

এসময় ক্যাডাররা কোন দলের সেটি জিজ্ঞেস করা হলে নদভী বলেন, এরা জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার।

তিনি বলেন, তারা আমার সাথে বেয়াদবি করেনি, তারা আল্লাহ, রসূলের সাথে বেয়াদবি করেছে। ইসলামের সৌন্দর্য তারা নষ্ট করেছে। মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছে। মসজিদের জানালার গ্রিল কেটে ফেলতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের কাছে মসজিদ, আউলিয়ার সম্মান নেই তাদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। তাদের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক বানাতে দেয়া যাবেনা।

হামলার পরিকল্পনা আগেই আঁচ করেছিলেন উল্লেখ করে নদভী বলেন, আমি ইচ্ছে করলে ফোর্স নিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেছি।

মাহফিলে আওয়ামী লীগের আরও নেতা বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাদের উপর হামলা না হয়ে নদভীর উপর হামলা হল কেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াত-শিবিরের টার্গেট নয়। তারা আমাকে টার্গেট করেছে।

উল্লেখ্য জামায়াতের ‘কাছের লোক’ হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন নদভী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে অনেকেই বিস্মিত হন।

জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নদভী নির্বাচনের পর এক সংবর্ধনা সভায় বলেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আগে পাকিস্তান ছিল। দীর্ঘদিন পর সেটা স্বাধীন হয়েছে।

জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছেড়ে আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া নদভী জামায়াত-শিবিরের তোপের মুখে আছেন। এছাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশও নদভীকে সহজভাবে গ্রহণ করেনি বলে আলোচনা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।