ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাতকানিয়ায় ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর জনসভা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪
সাতকানিয়ায় ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর জনসভা

চট্টগ্রাম: জামায়াত-শিবিরের ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১ মার্চ উপজেলার কেরাণীহাট মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।



জামায়াত-শিবিরের অব্যাহত সহিংসতার প্রতিবাদে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। সাতকানিয়ায় দেশের কোন প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম কর্মসূচী বলে জানান তিনি।


এছাড়া জামায়াত-শিবিরের অব্যাহত সহিংসতা এবং সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর উপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সাতকানিয়া অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মসূচীতে উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান মফিজুর রহমান।

তিনি জানান, গত শুক্রবার লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশেরও ডাক দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি লোহাগাড়া উপজেলার বটতল এলাকায় এ সমাবেশ ‍অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া সাংসদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাতকানিয়া উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচী পালনেরও ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সিভিল ওয়ার চাইনা। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা অগণতান্ত্রিক শক্তি উত্থান চাইনা। কিন্তু জামায়াত-শিবিরকে আর ছাড় দেয়া যাবেনা। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাটি থেকে তাদের উৎখাত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মফিজুর রহমান জানান, গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় শতাধিক সহিংসতার ঘটনা  ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির।

জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে পুলিশ কনস্টেবল, ছাত্রলীগ নেতাসহ কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মো.আলমগীর, কেওচিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী আব্দুল জব্বার, ধর্মপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মফিজ, লোহাগাড়ার বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাপ্পী, চৌকিদার বাহাদুর এবং লোহাগাড়া থানার পুলিশ কনস্টেবল তারেক।

জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মী। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের অসংখ্য বাড়িঘর ও মন্দির, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মন্দির, চরতি এলাকায় বিভিন্ন মসজিদের জানালা, নির্বাচনের দিন বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় আগুন দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাতকানিয়া এলাকায় জামায়াত ইসলামী দুই সাবেক সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং শাহজাহান চৌধুরী এসব অপকর্মে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯ দলের প্রধান দল বিএনপি জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

এতে বলা হয়, যারা এত ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নি:সন্দেহে মানসিক বিকারগ্রস্ত। ধর্মের নামে মানুষ খুনের এই রাজনীতি এক নতুন বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় যৌথবাহিনীর নিয়মিত কম্বিং অপারেশন শুরু, শামসুল ইসলাম ও শাজাহান চৌধুরীসহ সব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, মসজিদ-মাদ্রাসায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করা এবং দল হিসেবে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, চন্দনাইশ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।