ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিচারক আসার পর কাঠগড়ায় নিজামী-বাবর!

রমেন দাশগুপ্ত, উর্মি মাহবুব ও আবদুল্লাহ আল মামুন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪
বিচারক আসার পর কাঠগড়ায় নিজামী-বাবর! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করতে শুরু করেছেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর এস এম মুজিবুর রহমান। তিনি আদালতের এজলাসে আসন গ্রহণের পর আসামির কাঠগড়ায় ওঠেন এ মামলার দুই প্রধান আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

  এর আগে কাঠগড়ায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চেয়ারে বসেছিলেন তারা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এজলাসে আসন নেন বিচারক এস এম মুজিবুর রহমান।
এ সময় আসামির কাঠগড়ায় যান মতিউর রহমান নিজামী ও লুৎফুজ্জামান বাবর।   এর আগে আদালতে আনার পরও আসামির কাঠগড়ায় ওঠানো যায়নি নিজামী- বাবরকে। এ সময় কাঠগড়ায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রচণ্ড বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এ দুই আসামি। পরে তারা আদালতের এজলাসকক্ষে চেয়ারে বসে পড়েন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নিজামী-বাবরের এ আচরণে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা চেষ্টা করেও দুই গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে আসামির কাঠগড়ায় ওঠাতে ব্যর্থ হন। কারাগার থেকে আনা বাকি আসামিরা ডকে উঠলেও নিজামী-বাবর এর অদূরে চেয়ারে বসে থাকেন। সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার রেজাউল মাসুদ সে সময় বলেছিলেন, এখনও বিচারক এজলাসে ওঠেননি। তিনি এলে ওই দুই আসামিকে কাঠগড়ায় ওঠানোর চেষ্টা করা হবে।

অবশেষে বিচারক এজলাসে এলে নিজেরাই কাঠগড়ায় ওঠেন তারা। এজন্য জোর করতে হয়নি বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ হাজতে থাকা ১১ আসামিকে।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারিক আদালত চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।  


চট্টগ্রাম কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের আদালতে নেওয়ার সময় সামনে-পেছনে পুলিশের কঠোর প্রহরা দেখা গেছে। এসময় আসামিরা ছিলেন অনেকটাই স্বাভাবিক।

জেলহাজতে থাকা দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার ১১ জন আসামি হলেন, জামায়াতের আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (৮২), বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (৫৩), এনএসআই’র সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী (৬০) ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম (৬১), সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ (৫৩), সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন (৪৩), সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন (৪৭), সিইউএফএল’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার (৬২), সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক (৬১), চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪৮) এবং অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ (৪৫)।

দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া দু’টি মামলার মধ্যে অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আসামি হিসেবে আছেন ৫০ জন। এর মধ্যে ১১ জন জেলহাজতে, ২৭ জন আসামি জামিনে এবং ১২ জন পলাতক আছেন।
 
চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ১১ জন জেলহাজতে, ২৮ জন জামিনে এবং ১৩ জন আসামি পলাতক আছেন।

জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আদালতে হাজির আছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।