ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে পৃথক মামলায় দু’ধর্ষকের যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৪
চট্টগ্রামে পৃথক মামলায় দু’ধর্ষকের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলায় পৃথক দু’টি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দু’ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন।



বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম চৌধুরী এ রায় দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের পিপি ‍অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি মামলায় পৃথকভাবে দু’জন আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় আদালত দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।


দণ্ডিত দু’ধর্ষক হল, আনোয়ারা সদর এলাকায় মাহবুব আলীর ছেলে মো.লোকমান (৩৫) এবং বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে আমির হামজা (৪০)। উভয়ই বর্তমানে পলাতক আছে।

আদালত সূত্রে ‍জানা গেছে, ত্রিশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। আগের দিন মধ্যরাতে আনোয়ারা উপজেলা সদর এলাকায় একটি ভাড়া কলোনিতে বসবাসরত ওই নারী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাসা থেকে বের হলে প্রতিবেশি ভাড়াটিয়া লোকমান তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষে আনোয়ারা থানা পুলিশ ২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৫ জুন আদালত আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে মোট সাতজন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়।

এদিকে বাঁশখালী থানায় অপর মামলাটি দায়ের হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৭ আগস্ট। মামলার আসামী আমির হামজা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি এক তরুণীকে তার বাড়িতে এবং কক্সবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ মার্চ দু’দফা ধর্ষণ করেন।

মামলা দায়েরের পর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ১৯৯৯ সালের ১০ জুন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট পাঁচজন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

পিপি চন্দন তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, আদালত রায়ে দু’ধর্ষককে শাস্তি দেয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ডের টাকা তাদের কাছ থেকে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদানের জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।