ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৪
স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকায় জয়া পাল (৩৫) নামে অগ্নিদগ্ধ এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।



জয়া উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় পালের স্ত্রী। তাদের দুই ছেলে রয়েছে

এদিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে জয়ার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জয়ার পরিবার।


পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জয়ার পরিবারে কলহ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় তা মিমাংসা করা হয়। কিন্তু রোববার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় জয়ার গায়ে কেরোসিন দেয় তার স্বামী। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলেও সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কনস্টেবল মো. সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন,‘রোববার রাত আড়াইটায় জয়া পালকে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর সোমবার সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ’

এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর জয়ার পরিবারকে সংবাদ দিয়ে পালিয়ে গেছেন স্বামী সঞ্চয় পাল। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে চিকি‍ৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জয়ার বাবা গোপাল কৃঞ্চ দত্ত বাংলানিউজ বলেন,‘বাতির আগুন থেকে আগুন লেগে আহত হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে জয়ার স্বামী। তবে হাসপাতালে এসে আমরা তাকে পাইনি। ‘

তিনি বলেন,‘জয়ার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়েছে। সঞ্জয় পাল ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। ‘

‘গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার বিষয়টি মৃত্যু আগে জয়া বলে গিয়েছে’ দাবি করে তার বাবা বলেন,‘মৃত্যুর আগে জয়া দুর্ঘটনার কারণ বলেছেন। সে রেকর্ড আমাদের হাতে রয়েছে। ’

জয়ার ছোট বোনের জামাই স্বপন দাশ বাংলানিউজকে বলেন,‘জয়ার স্বামী তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর কথা ধরে জয়াকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ’

তিনি জানান, দুই পরিবারের সদস্য ও সমাজের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে পারিবারিক বিবাদ মিমংসা হয়েছে একাধিকবার।

স্বপন দাশ বলেন,‘এরপরও ঠিক মতো তাদের সংসার চলছিল। কিন্তু রোববার রাতে হঠাৎ জয়ার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় তার স্বামী। এরপর আহত অবস্থায় তার স্বামী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করে। এরপর বাতির আগুন থেকে জয়ার পা পুড়ে গেছে জানিয়ে হাসপাতালে রেখেই সঞ্জয় পালিয়ে যায়।

স্বপন দাশ জানান, ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ধামাইরহাট সোনারগাঁও গ্রামের গোপাল কৃঞ্চ দত্তের মেয়ে জয়া পালের সঙ্গে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকার সন্তোষ পালের ছেলে সঞ্জয়ের বিয়ে হয়।

বাংলাদেশ সময়:১২৪০ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরা এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।