চট্টগ্রাম: পানিসম্পদমন্ত্রী ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন,‘হালদা সম্প্রসারণ সেচ প্রকল্প পুনরায় চালু করা হবে। শিগগির এর কাজ শুরু করা হবে।
শনিবার সকালে হযরত আবদুল জলিল শাহ (র.) এর মাজার ও মা-বাবার কবর জিয়ারতের পর এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮৮ সালে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাটহাজারীর উত্তর এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে ইরি চাষাবাদ এবং মৌসুমী সবজি, নানা প্রজাতির ফুল চাষাবাদের জন্য এবং বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত নিষ্কাষণের জন্য হালদা প্যারালাল খাল তথা হালদা সম্প্রসারণ সেচ প্রকল্প প্রতিষ্টা করি। ’
পরবর্তীতে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আবদুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ার পর আবারো সচল হয়েছিল এ প্রকল্পটি। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর আবারো বন্ধ হয়ে যায় এ প্রকল্পটি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এ প্রকল্প পুনরায় চালু করতে ছয় কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। শীঘ্রই এর কাজ শুরু করা হবে। এ প্রকল্পটি চালু হলে ১৮০০শ হেক্টর জমি কৃষি কাজের আওতায় আসবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু পানিসম্পদমন্ত্রী হালদা নদীর তীরে যেখানে জরুরী ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ প্রয়োজন সেখানে কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলায় বেড়িবাঁধ নির্মান কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। ’
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন,‘আমি হাটহাজারীর সন্তান। হাটহাজারীর জনগনের প্রতি আমার দায়িত্ববোধ রয়েছে। আমি যখনই কোন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পেয়েছি তখনই হাটহাজারীর উন্নয়নে কাজ করেছি। কাজের মাধ্যমে হাটহাজারীর মাটি ও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকতে চাই। এটাই আমার মূল লক্ষ্য। ’
নতুন মন্ত্রী সভায় দায়িত্ব গ্রহন করার পর শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে আসেন তিনি। রাতে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। শনিবার সকালে তার নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারীতে আসেন। সকাল সাড়ে দশটায় হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ছাদেকনগর গ্রামের পৈত্রিক বাসভবনে যান তিনি। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, ক্রীড়া সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর