ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ’লীগের সংবর্ধনায় যাননি নৌকার ছয় কাণ্ডারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
আ’লীগের সংবর্ধনায় যাননি নৌকার ছয় কাণ্ডারি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নিজ দলের দেয়া সংবর্ধনায় যাননি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হওয়া চট্টগ্রামের এক প্রতিমন্ত্রী এবং চার সাংসদ। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারিও অনুপস্থিত ছিলেন সংবর্ধনা সভায়।

এ ছয় সাংসদই নির্বাচনী বৈতরণী পার  হয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে।

শনিবার বিকেলে নগরীর লালদিঘী ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে।


সভায় অনুপস্থিত সাংসদেরা হলেন, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশী) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি।

এছাড়া বান্দরবান থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও নবনিযুক্ত পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনিও আসেননি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অংশ নিতে সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহার ঢাকায় অবস্থান করছেন। এজন্য তিনি সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে পারেননি।

সাংসদ এম এ লতিফ বাংলানিউজকে জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে খুলনা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দুপুরে ঢাকায় ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত সময় করতে না পারায় তিনি চট্টগ্রামে আসতে পারেননি।

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিনকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সংবর্ধনা সভায় তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত নেতাকর্মীদের কাউকেই দেখা যায়নি।

এবার মন্ত্রীসভায় স্থান না পাওয়া আরেক সাংসদ ড.হাছান মাহমুদ সভার শুরুতে বক্তব্য দিয়েই সভাস্থল ত্যাগ করেন। তার বক্তব্যের সময় সভায় তেমন লোকসমাগমও ছিলনা।

সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি এলাকায় (রাউজান) আছি। এলাকায় আমার বিভিন্ন কর্মসূচী আছে। সেগুলোতে আমি অংশ নিয়েছি। সেজন্য সংবর্ধনায় যেতে পারিনি। ’

পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সাংসদের পিতার চেহলাম অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় তিনি সংবর্ধনায় যেতে পারেননি।

সংবর্ধনায় না যাওয়া প্রসঙ্গে তরিকত ফেডারেশনের চেয়াম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি বলেন, আমাদের পার্টির মহাসচিব স্থগিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এতদিন পর আজ (শনিবার) বাড়ি থেকে ফিরেছেন। এজন্য দলীয়ভাবে আমাদের কিছু কর্মসূচী পালন করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার একটি বৈঠক ছিল। সেজন্য সংবর্ধনায় যেতে পারিনি।

ভাণ্ডারি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সাংগঠনিক ব্যস্ততার জন্য আমি যেতে পারিনি, সেটা আমি তাদের বলেছি।

সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের সাংসদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সাংসদ দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাংসদ ও সাবেক বনমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনের সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী) আসনের সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভি এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮,২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।