ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান পোড়ানোর প্রতিবাদে খেলাঘরের কিশোর সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৪
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান পোড়ানোর প্রতিবাদে খেলাঘরের কিশোর সমাবেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দেশজুড়ে সহিংসতা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে খেলাঘরের শিশু-কিশোররা।  

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ শিশু-কিশোর সমাবেশ ও মানববন্ধনে অংশ নেয়।



দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, স্কুল,মাদ্রাসা ও পাঠ্যপুস্তক পোড়ানোর প্রতিবাদে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কিশোর সমাবেশে উদীচীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, শিক্ষক নেতা ও আবৃত্তি শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌলশী রূপক চৌধুরী, গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান, প্রমার রাশেদ হাসান, উদীচীর চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধর, অ্যাডভোটেক অশোক দাশ, অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্ত ও ইন্ধিরা চৌধুরী, শিক্ষিকা সালমা জাহান মিলি প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের মরণপণ যুদ্ধ শেষে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি তখন পরাজিত হয়ে-ই ক্ষ্যান্ত থাকে নি, আবারও এদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজে হামলা চালিয়ে আগুন দিয়েছে। ’

তারা বলেন,‘বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে যখন একটি নির্বাচন প্রয়োজন, সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকসহ নানা আসবাবপত্র। এধরণের ঘটনা একাত্তরকেও হার মানিয়েছে। ’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন,‘শুধু নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন নয়, কঠোর হাতে সাম্প্রদায়িকতা ও নৈরাজ্যসৃষ্টিকারীদের দমন করতে হবে। কেননা সহিংসতার মধ্যে গণতন্ত্র কিংবা দেশ এগোতে পারবে না। ’

সন্ত্রাস নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে তারা বলেন,‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। আর এর মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। ’

অবিলম্বে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আগুন ও সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির  দাবি জানান তারা।

মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে শিশু-কিশোরদের নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জামালখান সড়ক হয়ে চেরাগী পাহাড় মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।