চট্টগ্রাম: বন্দর নগরীর ঐতিহ্যবাহি শতবর্ষী চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে বের হয়ে দেশের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য শিল্পপতি ২০১০ সালে গঠন করেছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি। মেজবান দিয়ে বর্ণাঢ্য রাজকীয় অভিষেক হয়েছিল এই চেম্বারের।
সেই সময় যে ক্ষোভ ও হতাশা থেকে এরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেট্টোপলিটন চেম্বার গঠন করেছিলেন তা পূরণে তেমন সফলতা আসেনি বলে মনে করছেন অনেকে।
বিগত পাঁচবছরে এ চেম্বারের কয়েকটি এজিএম কোরাম পূরণ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
এ নাজুক অবস্থার মধ্যে নিয়ম রক্ষার আবর্তে ঘুরছে এ চেম্বার। আজ বৃহষ্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের পঞ্চম বর্ষপূতি অনুষ্ঠানটিও নিয়ম রক্ষার অনুষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। অনেকটা দায়সারা ভাবে চেম্বার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারকে একটি সুখী পরিবার দাবি করে বাংলানিউজকে বলেন, ৪২ পরিচালক ও সাত’শ সদস্যের এ চেম্বারে কোনও দ্বন্ধ নেই।
তিনি যোগ করে বলেন, ‘ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারনে সহায়ক হয় এমন কাজ ও সুপারিশ করে যাচ্ছি আমরা । এরই মধ্যে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। ’
ঢাকা চেম্বার ও ক্যালকাটা চেম্বারসহ দেশ-বিদেশের অভিজাত চেম্বারের উদাহরণ দিয়ে মাহবুব চৌধুরী অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ‘এ অভিজাত চেম্বার দেশের স্বনামধন্য ইন্ডাষ্ট্রিয়ালদের দিয়ে গড়া, আমরা পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের ব্যাপক প্রসারে কাজ করে যাচ্ছি। ’
তিনি বলেন, এরই মধ্যে চেম্বারের নিজস্ব ভবন করার উদ্যোগ নিয়েছি। মূলত: আমরা সামনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। ’
ঐতিহ্যবাহি চট্টগ্রাম চেম্বারের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ যে ক্ষোভ ও হতাশাকে কাজে লাগিয়ে মেট্টোপলিটন চেম্বার সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ক্ষোভ ও হতাশা এখন আর নেই। প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। ওদের অনেকে আমাদের সঙ্গে একাত্ন হয়ে কাজ করছেন। তাই হয়ত তাদের কর্মকান্ডগুলো তেমন চোখে পড়ছে না বলে আপনাদের মনে হচ্ছে। ’
প্রসঙ্গত: বিগত সময়ে এ চেম্বারের সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাজেটপূর্ব আলোচনায় হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন পরিচালক উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। সম্প্রতি অবরোধ-হরতালের বিরুদ্ধে এফবিসিসিআই এর আহবানে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বিশাল সমাবেশ ও প্রতিবাদী মানববন্ধন করলেও মেট্রোপলিটন চেম্বারের মানববন্ধনটিও একেবারে দায়সারাভাবে করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে অবস্থিত। ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে প্রেসিডেন্ট করে এ চেম্বারের যাত্রা শুরু হয়। পরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলে তিনি চেম্বারের এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পরবর্তীতে কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪