ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দশ ট্রাক অস্ত্র: রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ফের পেছাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৪
দশ ট্রাক অস্ত্র: রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ফের পেছাল

চট্টগ্রাম: দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদের যুক্তি উপস্থাপন আবারও পিছিয়েছে।

বুধবার মহানগর পিপি’র অসমাপ্ত যুক্তি উপস্থাপনের কথা ছিল।

কিন্তু হরতালের কারণে আইনজীবীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তা পিছিয়ে আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি পুন:নির্ধারণ করেন।

চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের এ সময় নির্ধারণ করেন।


বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো.ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। জানুয়ারিতে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের সময় নির্ধারিত থাকলেও হরতালের কারণে সম্ভব হয়নি। এজন্য আদালত আগামী সপ্তাহে সময় নির্ধারণ করেছেন। ’

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি বন্ধুরাষ্ট্র ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার ব্যবহারের জন্য দশ ট্রাক অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন।

পিপি কামাল বলেন, ভারত শুধু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র নয়, তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মায়ানমারও আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র। কিন্তু মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য আছে। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রশিক্ষণ এবং এক কোটি বাংলাদেশীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সাহায্য করেছে। কিন্তু অস্ত্র আনার এ কাজে মনে হচ্ছে আমরা জাতি হিসেবে কৃতঘ্ন। যারা আমাদের উপকার করেছে আমরা তাদের অপকার করেছি। এটা দু:খজনক। জাতি এর দ্রুত বিচার চাই, আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ও চাই।  

মহানগর পিপি’র যুক্তি উপস্থাপনের সময় পরদিনও নির্ধারিত থাকলেও হরতালের কারণে তা পিছিয়ে ৭ ও ৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু হরতালের কারণে তা-ও পেছাল।  

এর আগে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইনে ও চোরাচালানের অভিযোগে দু’টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ঘাট শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ট্রলারের সারেং, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত লোককে আসামী করা হয়।

মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তৎকালীন অতিরিক্ত মহানগর পিপি হুমায়ন কবির রাসেলের আবেদনে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত।

প্রায় সাড়ে তিন বছর অধিকতর তদন্তের পর ২০১১ সালের ২৬ জুন নতুনভাবে আরও ১১ আসামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের তৎকালীন এএসপি মো.মনিরুজ্জামান।

এরপর ওই বছরের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮,২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।