ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোট ঠেকানোর সহিংসতায় প্রাণ গেল রাশেদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৪
ভোট ঠেকানোর সহিংসতায় প্রাণ গেল রাশেদের

চট্টগ্রাম: নির্বাচন বিরোধীদের ভোট ঠেকানোর সহিংসতার শিকার হয়ে পাঁচদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন রাশেদুল আলম রাশেদ (২৫) নামে এক যুবক। তিনি চট্টগ্রাম নগরীতে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন।



ভোট ঠেকানোর হরতাল চলাকালে গত শনিবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া বোর্ড মাদ্রাসার সামনে সহিংসতার শিকার হন রাশেদ। বুধবার সকালে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


হাটহাজারী থানার ওসি মো.ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, পিকেটারদের হামলায় রাশেদ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। প্রথমে তাকে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ (বুধবার) সকালে মারা গেছেন।

রাশেদ হাটহাজারীর পাশের উপজেলা ফটিকছড়ি পৌর সদরের জনৈক সামছুল কাদেরের একমাত্র ছেলে।

রাশেদের ফুপাত ভাই মো.জাবেদ ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, রোববার ভোট দেয়ার জন্য আগের দিন শনিবার বিকেলে নগরী থেকে লোকাল সিএনজি অটোরিক্সায় চড়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন রাশেদ। অটোরিক্সার চালকের ডান পাশে বসেছিলেন রাশেদ। অটোরিক্সাটিতে আরও চারজন ছিল।

বিকেল ৫টার দিকে চারিয়া এলাকায় বোর্ড মাদ্রাসার সামনে আকস্মিকভাবে কয়েকজন পিকেটার অটোরিক্সার উপর হামলা চালায়। তারা বড় বড় লাঠি দিয়ে রাশেদের মাথায় আঘাত করে এবং অটোরিক্সাটি ভাংচুর করে। মাথায় গুরুতর জখম অবস্থায় রাশেদ সেখানে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে স্থানীয় নাজিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান।

জাবেদ ইকবাল জানান, নাজিরহাট হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতেই রাশেদকে দ্রুত নগরীতে হলি ক্রিসেণ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন পর তাকে সেখান থেকে মেট্রো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একদিন রাখার পর মঙ্গলবার তাকে মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ওয়ার্ড মাষ্টার দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাশেদুল আলম রাশেদের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। এরপর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

জাবেদ ইকবাল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘রাশেদ বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তার বাবা-মাকে দেখারও কেউ থাকল না। ’

ওসি বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল। ওই মামলায় হত্যাকাণ্ডের ধারা সংযুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮,২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।