ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাপা প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এক কেন্দ্রে এগিয়ে

বাংলানিউজ টিম, চট্টগ্রাম ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৪
জাপা প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এক কেন্দ্রে এগিয়ে ছবি: উজ্জল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপরপরই শুরু হয়েছে ভোট গণনা।

এরমধ্যে বাকলিয়া-কোতোয়ালী আসনের একটি কেন্দ্রে ৩৩৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন বাবলু।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবু হানিফ পেয়েছেন ১৯ ভোট।
এছাড়া এ কেন্দ্রে বিএনএফ‘র আরিফ মঈনুদ্দিন পেয়েছেন ১০ ভোট এবং ন্যাপ’র আলী আহমদ নজির পেয়েছেন ২ ভোট।

লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভোট (আরপিএটিসি) কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল হক চৌধুরী বলেন,‘এখানে ২হাজার ৫১৭ জন ভোটার ছিলেন। এরমধ্যে ৩৬৫টি ভোট কাস্টিং হয়েছে। কোন ভোট নষ্ট হয়নি। ’

রোববার সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।

ভোট শুরু হওয়ার আগ থেকে নগরী ও উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণসহ ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোট ছিনতাই করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছে।

চট্টগ্রামে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার জন্য দু’টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সুত্র জানায়, বিকাল চারটার পর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে। আসনগুলো হচ্ছে, সীতাকুণ্ড, কোতয়ালী-বাকলিয়া এবং বন্দর-পতেঙ্গা।

এছাড়া জেলার বাকি ছয়টি আসনের ফলাফল ঘোষণা হবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে। আসনগুলো হচ্ছে, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, পটিয়া, আনোয়ারা-পশ্চিম পটিয়া, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এবং বাঁশখালী।

বিএনপিসহ সরকার বিরোধী বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতটি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন। একক প্রার্থী থাকায় ওই সাতটি আসনে নির্বাচন হচ্ছেনা।

বাকি নয়টি আসনেই রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আসন মহানগরীর আওতাধীন। সেগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী-বাকলিয়া) এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)।

চট্টগ্রাম জেলার আওতায় পড়েছে ৬টি আসন হচ্ছে, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-পশ্চিম পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)।

এসব আসনের সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ২৮ লক্ষ ২৮ হাজার। নয়টি আসনে মোট ১হাজার ৪৪টি ভোটকেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৮৩টি ভোট কক্ষ রয়েছে।

আর ভোটগ্রহণের কাজে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫ হাজার ৫৮৩ জন এবং ১১ হাজার ১৬৬ জন পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ঘণ্টা, জানয়ারী ০৫, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।