চট্টগ্রাম: ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
রোববার সোয়া ১টার দিকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ ঘোষণার কথা জানান।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,‘ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে আমি ২৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি এসব কেন্দ্রে কোন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল নেই।
এসব অভিযোগ রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
নির্বাচনকে ‘নীলনকশা’ উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন,‘এই নীলনকশার নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়াচ্ছি, নির্বাচন বর্জন করছি। ’
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী রির্টানিং অফিসার ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. রোকেয়া পারভিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন,‘তিনি (সিরাজুল ইসলাম) আমাদেরকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-পুলিশ, বিজিবিসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসবের কোন সত্যতা পাইনি। ’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-১১ (পটিয়া) আওয়ামী লীগের সামশুল হক চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২লাখ ৫০হাজার ৫জন।
এরমধ্যে ৯৯টি কেন্দ্রে পটিয়া আসনে ৬৫৬ জন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ১০৫ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সকালে ভোটারদের সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।
এছাড়া পটিয়া সদরের আব্দুস সোবাহান-রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩হাজার৭১৬জন ভোটার রয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শৈবাল কান্তি নন্দী বলেন,‘ ১৭২টি ভোটার তাদের ভোট দিতে আসছেন। সকালে কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোটার সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন বাড়বে। ’
উপজেলার লাখেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ১৭৯জন। এরমধ্যে বেলা ১টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে মোট ৬০০ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা গোলাম মোহাম্মদ রতন নামে এক ভোটার বলেন,‘ভোট দেয়া আমার অধিকার, তাই নিজ উদ্যোগেই বাড়ির লোকজন নিয়ে দিতে এসেছি। ’
তবে কেলিশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা ভোটর আবদুল হাই বলেন,‘ভোটের তেমন আমেজ নেই। তাই বাড়ির কোন মহিলা ভোটার আসেনি। আমি একাই ভোট দিয়েছি। ’
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় পুলিশিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর