ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জুন ২০২৫, ০২ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাকলিয়া আইল্যান্ডে ওয়ান সিটি, টু টাউন গড়ার পরিকল্পনা করছি: চসিক মেয়র

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৩, জুন ২৭, ২০২৫
বাকলিয়া আইল্যান্ডে ওয়ান সিটি, টু টাউন গড়ার পরিকল্পনা করছি: চসিক মেয়র দস্তগীর চৌধুরী চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাকলিয়া আইল্যান্ডে গিয়েছিলাম। ইনভেস্টরদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সেই এলাকা নিয়ে আমরা একটি ওয়ান সিটি, টু টাউন গড়ার পরিকল্পনা করছি।

চট্টগ্রাম সিটি হবে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি। আমরা চট্টগ্রাম শহরকে একটি পরিবর্তনের শহর হিসেবে গড়তে চাই—এই পরিবর্তন চট্টগ্রামবাসীর জন্যই নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের মানুষের জন্য।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে কদমতলী মোড়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়া সংগঠক মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর নামে ‘দস্তগীর চৌধুরী চত্বর’এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরের পরিচ্ছন্নতা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের শহরকে পরিস্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা যদি প্লাস্টিক, পলিথিন, ডাবের খোসা ও ময়লা যথাস্থানে ফেলি, তাহলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব এবং ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়ার মতো রোগের সংক্রমণও কমবে। চট্টগ্রামে এখন করোনার সংক্রমণও বাড়ছে, ইতোমধ্যে শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, মুক্তিযোদ্ধা দস্তগীর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এক এগারোর পর তিনিই চট্টগ্রামের প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অবৈধ শাসনামলেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে কঠিন সময়ে রাজনীতি করেছেন।

তিনি বলেন, দস্তগীর চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ক্রীড়া উন্নয়নে তাঁর অবদান চট্টগ্রামবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য হাজী মো. সালাউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. সাইফুল আলম ও নিয়াজ মো. খান, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, নুর উদ্দিন নুরু, মা ও শিশু হাসপাতালের সভাপতি মোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ, মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার দস্তগীর, সন্তান ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বিএনপি নেতা মো. আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, কায়সার হোসেন বাবু, জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার জাভেদ আবছার, ইলিয়াস মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. শাহাজান, এম এ হালিম, বাদল, কামরুন নাহার লিজা, মুজিবুর রহমান, ওসমান, হারেজ, নুর খান, নুর জাহেদ বাবলু, আলমগীর, আনোয়ার আবেদীন মুন্না, আরাফাত, রাশেদ, আবদুল আজিজ, জুয়েল, সোহেল, লিটন, আক্তার খান প্রমুখ।

পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।