চট্টগ্রাম: নগরের পর্যটন শিল্প রক্ষার জন্য পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাশত করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চসিক মেয়র এ হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র বলেন, সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এটা কোনোক্রমে আমরা সহ্য করবো না। এটা সবার সম্পদ।
গাড়ি পার্কিং বিষয়ে আমরা বসবো। বিদেশি বিচেও পার্কিং আছে। ব্যক্তিগত গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। যাতে কোনো পর্যটককে যেন জোর জুলুম করা না হয়। পার্কিং ফি যৌক্তিক হতে হবে। এখানে ইন্টারেকশনের অভাব ছিল। তাই যত্রতত্র দোকান বসে গেছে, বিচের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলেছে। ঘোড়াগুলোর মালিকদের দায়িত্ব ব্যবসায়ী সমিতির। তারা যেন ঘোড়া নিয়ে ঘোরাঘুরি না করে। পর্যটক হাঁটতে পারছে না। সব জায়গায় ঘোড়ার বিষ্টা আমি দেখেছি। বালুর মধ্যে তারা তিন নম্বর সিঁড়ির পরে তারা ঘোড়া রাখবে। লিখিত আকারে সব সিদ্ধান্ত আমরা জানিয়ে দেব। কারও পেটে লাথি মারার জন্য আমরা আসিনি। সৈকতের সৌন্দর্য এক শতাংশও নষ্ট হতে দেব না- এ ব্যাপারে আমাদের বদ্ধপরিকর। এ সৈকত আমরা যারা স্থানীয়দের রক্ষা করতে হবে। এ সৈকত আছে বলে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। পর্যটক না আসলে আপনারাও দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। কাজেই সব কিছু শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে।
জোর করে ছবি তোলার নামে কোনো পর্যটককে হয়রানি করা যাবে না। মানসম্মত খাবার দিতে হবে রেস্টুরেন্টে। এখানে বাসি খাবার দেওয়া হয়। ডায়রিয়া হয়ে যায়। এমন অভিযোগ পাই। এ ধরনের অভিযোগ যেন না শুনি। খাবারের মূল্য তালিকা থাকতে হবে নয়তো জেলা প্রশাসন, চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করবেন। আপনারা দেখেছেন রোজার সময় আমরা বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করেছি। চা, পেঁয়াজুসহ সব খাবারের দাম লেখা থাকতে হবে তালিকায়।
আমরা চাই কোনো পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হয়। বোটে চড়লে লাইফ জ্যাকেট দিতে হবে। নয়তো বোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। যেকোনো মুহূর্তে অঘটন ঘটলে সবাইকে দায় নিতে হবে।
আগামী বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা সাতটায় পতেঙ্গা সৈকতের বিভিন্ন বিষয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সমন্বয় সভা করবেন বলে জানান সিটি মেয়র।
তিনি বলেন, সৈকতে সিকিউরিটি গার্ডের প্রয়োজন আছে। অত্যন্ত বেদনাদায়ক এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। দুই-আড়াই লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। সিডিএ চেয়ারম্যান এ বিল দিতে পারছেন না দেখে লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। আশাকরি এ দুঃখ আর থাকবে না। সবাই মিলে কাজ করবো। দোকানের যে মাসিক ভাড়া আসবে তা থেকে পরিশোধ করা হবে। আমরা কারও পেটে লাথি মারতে চাই না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য জায়গাগুলো ডিসিপ্লিনের মধ্যে আনতে হবে। তাদের পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত ৩ নম্বর সিঁড়ির পরে শৃঙ্খলার সঙ্গে বসবে।
এআর/পিডি/টিসি