চট্টগ্রাম: আগামীতে দেশবিরোধী যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই-বিপ্লব স্মৃতি হলে মহানগর বিএনপির সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, অতীতে যেভাবে বিএনপি রাজপথে থেকে আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে। গত জুলাই-আগস্টে সরকার পতনের আন্দোলনের পরও সেভাবেই রাজপথ কাঁপিয়েছে বিএনপি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। মাফিয়া সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সময় বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিচিত করবার অপকৌশলে লিপ্ত ছিল। ক্ষমতা হারিয়ে ৫ আগস্টের অপশক্তি এখন কিন্তু আবার বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। দেশকে আমদানি নির্ভর, পরনির্ভর এবং ঋণনির্ভর একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করে মাফিয়া সরকারের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশ ক্ষমতায় থাকতে নানা অজুহাতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা সফল হলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যুরো চিফ গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন নিউজগার্ডেন সম্পাদক কামরুল হুদা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের ১৫ বছরের দুঃশাসনের কুফল এখনো জনগণকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পলাতক স্বৈরাচারের পরাজয়েরর মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের আবহমান কালের ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসএম সাইফুল আলম, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আরইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, এনাম হায়দার, এমরান এমি, ইভান মির। উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ জাফর, নূর উদ্দিন নুরু, এমএ সবুর, আবু মুসা প্রমুখ।
এআর/টিসি