চট্টগ্রাম: ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইস্পাহানি দৃষ্টি বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট: ব্রেইনস্টর্মিং ২০২৫’–এর প্রথম রাউন্ড। চট্টগ্রামের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ২৭টি দল তাদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে অংশগ্রহণ করছে এই প্রতিযোগিতায়।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. নুরুল আবসার নাহিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চট্টগ্রাম এরিয়া হেড কায়েস চৌধুরী, এ জেড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এক্সকিউটিভ কনসালন্টেট আহমেদ জিবরান ও দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. নুরুল আবসার বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং তরুণদের বাস্তব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে উঠছে এটি দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, আজকের এই ব্রেইনস্টর্মিং-২০২৫ এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে ভবিষ্যতের সফল স্টার্টআপরা উঠে আসবে। তরুণদের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগে আমরা একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাশে থাকব সবসময়।
অনুষ্ঠানের অতিথি কায়েস চৌধুরী বলেন, পরিবেশ রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক প্রভাব এই তিনটি বিষয় যদি ব্যবসায়িক চিন্তার কেন্দ্রে থাকে, তবে তা সত্যিকার অর্থেই জাতিকে বদলে দিতে পারে।
প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল “বর্জ্য পুনর্ব্যবহারভিত্তিক ব্যবসা পরিকল্পনা। প্রতিযোগীরা পরিবেশবান্ধব এবং সমাজ-সচেতন নানা ধরনের ব্যবসায়িক আইডিয়া উপস্থাপন করেন। তিনটি রাউন্ড শেষে মোট ৬টি দলকে ফাইনালের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ফাইনাল রাউন্ড আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার, চট্টগ্রামে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য তরুণদের উদ্যোক্তা মানসিকতা বিকাশ এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানে উৎসাহিত করা।
ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রসার-প্রচার এবং ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত এটি চট্টগ্রামের এ ধরণের একমাত্র আয়োজন যা বিগত ১৩ বছর যাবত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দৃষ্টি চট্টগ্রামের আয়োজনে ও ইস্পাহানী চা এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ইস্পাহানী-দৃষ্টি ব্রেইনস্টর্মিং’ বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতায় বিচারক উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
পিডি/টিসি