ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি চিকিৎসকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি চিকিৎসকরা ...

চট্টগ্রাম: পাহাড়তলীর চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (সিইআইটিসি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনী অনুষ্ঠান হয়েছে।

বর্ণিল এ আয়োজনে অংশ নেন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, কর্মকর্তাসহ ৫০ জন। উপস্থিত ছিলেন সিইআইটিসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক মরিস গ্যারি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর, দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার প্রকাশক ও পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, আজীবন সদস্য, চিকিৎসক প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য দেন উড়োজাহাজে স্থাপিত বিশ্বের একমাত্র সম্পূর্ণ স্বীকৃত চক্ষু চিকিৎসাশিক্ষা ও সার্জিক্যাল হাসপাতাল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল কার্যক্রমের আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জমান ওসমানী।  

বক্তব্য দেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, সিইআইটিসি’র মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজীব হোসেন।  

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন ভবিষ্যতে চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যহত রাখার জন্য অরবিস কর্মকর্তাদের আহবান জানান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সব সময় এ ধরনের কার্যক্রমে অরবিসের সাথে কাজ করবে।  

অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জমান ওসমানী বলেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পাশাপাশি হাসপাতাল ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করলে একটা সম্বলিত ভালো ফলাফল আসবে।  

মরিস গ্যারি বলেন, আমি অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পর পর কয়েকবার চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসেছি। প্রতিবার লক্ষ্য করেছি হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণ টিম খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করেন। ফলে আমাদের পক্ষে খুব ভালো মানের একটা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সহজ হয়।  

শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এ ধরনের উন্নতমানের সামাজিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই এবং সব ধরনের সহযোগিতা দিতে চেষ্টা করি।  

তিনি আশা করেন অরবিস আবারো বাংলাদেশে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।