ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের উদ্বোধন শনিবার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের উদ্বোধন শনিবার  ...

চট্টগ্রাম: ৬০ বছর ধরে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসা লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল রূপান্তরিত হলো লায়ন্স আই ইনস্টিটিউটে। ১৯৬৩ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত এ দাতব্য সংস্থা শনিবার (৮ জুলাই) থেকে যাত্রা শুরু করবে নতুন এক গন্তব্যে, যার নাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট।

উদ্বোধন করবেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান লায়ন নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৬৫ সালে ৩০টি শয্যা নিয়ে এ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয় এবং বর্তমানে ১০০টি শয্যায় উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের একটি গর্বিত প্রকল্প চট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল। চক্ষু বিষয়ক উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুমোদন লাভ করেছে। সে প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারি থেকে এমএলওপি এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট সাবস্পেশালিটি ফেলোশিপ কোর্সের কার্যক্রম শুরু হয়। চক্ষু বিষয়ক উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গঠনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আমরা উচ্চতর কোর্স পরিচালনার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করেছি। এখন আমরা একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছি।  

লায়ন্স জেলার সাবেক গভর্নর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্তির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ডিপ্লোমা ইন অফথ্যালমোলজি কোর্স অধিভুক্তির জন্য আবেদন করেছি। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিদর্শন টিম পরিদর্শন করেছেন। বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আই ক্যাম্প (চক্ষু শিবির), স্কুল সাইট স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম ও পারিবারিক স্বাস্থ্য পুষ্টি এবং শিক্ষা প্রকল্প এবং সিটি সেন্টারে আধুনিক মানের হাসপাতাল -এই সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন ১৯৬৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগে অন্ধত্ব বিমোচন, দূরীকরণ ও চক্ষুরোগের চিকিৎসা পরিচালনা করে আসছে।

বর্তমানে এই হাসপাতাল প্রতিদিন প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ জন দুস্থ, গরিব, দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির রোগীকে সাশ্রয়ীমূল্যে চক্ষু সংক্রান্ত সব রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন নাজমুল হক চৌধুরী, সাবেক জেলা গভর্নর লায়ন সিরাজুল হক আনসারী, সেক্রেটারি লায়ন ডা. দেবাশীষ দত্ত, ট্রেজারার লায়ন এস জোহা চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েট সেক্রেটারি লায়ন আশরাফুল আলম আরজু, একাডেমিক ডিরেক্টর ডা. প্রকাশ  কুমার চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।