ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার গ্রেফতার

চট্টগ্রাম: রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ইসলামপুর ইউনিয়নের মঘাছড়ি এলাকায় অবৈধ ইট ভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিককে জিম্মি করে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কাঞ্চন কুমার তুরি (৩৬) নামে ইটভাটার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীর হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার কাঞ্চন কুমার একই থানার রাজা নগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অমূল্য ডাক্তার বাড়ির জীবন কৃষ্ণ তুরির ছেলে।

রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বাংলানিউজকে জানান, ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিককে জিম্মি ও মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কাঞ্চন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ইসলামপুর ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ করেসপনডেন্ট আবু আজাদ। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক আবু আজাদ বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), ইটভাটার ম্যানেজার কামরান (৩০) ও মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুরি (৩০)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সংগ্রহ করতে রোববার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের মঘাছড়িতে সড়কের পাশে মাটি তুলে নামহীন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় মেম্বার মহিউদ্দীন তালুকদার (মোহন) ৫-৬ জনকে সঙ্গে নিয়ে আমার (সাংবাদিক আবু আজাদ) মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করেন।

আরও বলা হয়, এরপর আমাকে একটি সাদা রংয়ের নোহা গাড়িতে তুলে নিয়ে মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রকাশ্যে আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও মারধর করা হয়। আমার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড তারা কেড়ে নেন। মারধরের এক পর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোন দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আমার পরিচয় জানার পর তিনি আমাকে বলেন, এরকম সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছু হবে না। এরপর আমার মোবাইল দিয়ে গুগল ড্রাইভে ঢুকে সব ছবি-ভিডিও ডিলেট করে দেওয়া হয় এবং মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে পকেটে মারধরকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করে দেখাতে বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এমআই/পিডি/টিসি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।