ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে  মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন

চট্টগ্রাম: বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদাত্ত কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। এ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা লাভের জন্য বাঙালি জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে।

 

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিন্ম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে।

বিশ্ব ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা বহন করছে। কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর ভূমি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইন্ডাসট্রিয়াল পার্ক বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ সন্ধিক্ষণে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করা।

পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও কূচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এসময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, কারারক্ষী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম রক্ষা বাহিনী, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, বিএনসিসি, স্কাউটস, যুব রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বর্ণাঢ্য কূচকাওয়াজে অংশ নেয়।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একডেমী প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান আনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।  

এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মুজিব বর্ষে কেউ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না এ স্লোগানকে সামনে রেখে গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৮ হাজার ৮১৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের সবার জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ২৬ হাজার ৭৮০টি ঘর নির্মিত হয়েছে এবং ১৩ হাজার ৩০৭টি ঘর নির্মানাধীন রয়েছে। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে বীর নিবাস। চট্টগ্রাম বিভাগে এ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ১৬৪টি ঘর নির্মণের জন্য সরকারের উদ্যেগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬টি ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ৭১৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৩০৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে  কূচকাওয়াজ ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্, মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।