ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিজয় অর্জনে সময় কম লাগলেও বেশি ত্যাগ করতে হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
বিজয় অর্জনে সময় কম লাগলেও বেশি ত্যাগ করতে হয়েছে ...

চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সময় কম লাগলেও বেশি ত্যাগ করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।  

তিনি বলেন, পৃথিবীতে স্বাধীনতার এতো প্রাণের বিসর্জন খুবই বিরল।

বিজয়ের অর্ধশতাব্দী পরেও আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনও দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তৎপর।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সোনার বাংলার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। এখন তিনি ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে হবে।  

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সংকটকে পুঁজি করে ভার্চুয়াল জগতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী নানামুখী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমাদের শিক্ষিত সমাজকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব নাহিদা সুলতানা এবং উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার, শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান জুথী, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এমকে জিয়াউল হায়দার, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিয়ানা ও কামরুল হাছান।

সূর্যোদয়ের সময় উপাচার্য ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে সকাল পৌনে নয়টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের দুই শহীদ ছাত্র শহিদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহিদ মোহাম্মদ শাহের কবর জেয়ারত করা হয় এবং বাদে জুমা মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।  

দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিক্ষক বনাম শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা বনাম কর্মচারীর প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা, শিশুকিশোরদের দৌড় ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।