ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কবি-সাহিত্যিকরা মহৎ শব্দে অন্তরলোক আলোকিত করেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
কবি-সাহিত্যিকরা মহৎ শব্দে অন্তরলোক আলোকিত করেন ...

চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, কবি বিমল গুহ, কবি আসাদ মান্নান ও কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের তিন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তারা কেবলই পুরস্কারপ্রাপ্ত নন তারা সাহিত্যিক।

ভালোবাসা আর বেদনার সংমিশ্রণে তাদের সৃষ্টিকর্ম। কবি-সাহিত্যিকরা মহৎ শব্দে অন্তরলোক আলোকিত করেন।
পাঠককে মুগ্ধতার আবেশে ভরিয়ে দেন। তারা বিশ্বলোককে জাগরিত করেন।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন কবি-সাহিত্যিকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি হলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী। বক্তব্য দেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. আনোয়ারা আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বাঁশি জাদুকর ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ-কবি ড. মোহীত উল আলম, কবি ওমর কায়সার, কবি নিতাই সেন, কবি শাহ আলম নিপু, শিশুসাহিত্যিক শৈবাল বড়ুয়া, শিল্পশৈলী সম্পাদক নেছার আহমদ, কবি জিন্নাহ চৌধুরী ও একাডেমি প্রতিষ্ঠাতা শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ।  
অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত তিন লেখক।  

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, লেখক মো. জাহাঙ্গীর মিঞা, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী, এসএম আবদুল আজিজ, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী, লেখক এসএম মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু।

ড. আনোয়ারা আলম বলেন, কবিতা মানে স্বপ্ন ফেরি। আর কবিরা এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। কবিতা, গল্প, কথাসাহিত্যে সমাজমনস্কতা, মানবতা ও সমকাল ধারণ করে থাকে। আজকের সংবর্ধিত সাহিত্যিকরাও সমাজ বাস্তবতার নিরিখে নিপুণ কারিগর। এদের সম্মানিত করে চট্টগ্রাম একাডেমি নিজেই গৌরববোধ করছে।

কবি বিমল গুহ বলেন, ঘরের স্বীকৃতি বড় স্বীকৃতি। ঘর থেকে স্বীকৃতি না পেলে কোনো সাহিত্যিক এগিয়ে যেতে পারেন না।

কবি আসাদ মান্নান বলেন, পুরস্কার কাউকে লেখক করে না। বরং ভালোবাসাই পারে লেখক বানাতে। যদিও ভালোবাসার অভাব আজ পৃথিবীতে।

কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী কবিতা না লেখার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রেমিকের কাজ ছেড়ে আমি এখন শ্রমিকের কাজ করছি। গদ্য সাহিত্যের কাজ যেন কোদাল দিয়ে মাটি কাটার মতোই শ্রমনির্ভর।

অনুষ্ঠানে তিন লেখকের হাতে ক্রেস্ট, অর্থ তুলে দেন চট্টগ্রাম একাডেমির চেয়ারম্যান ড. অনুপম সেন। উত্তরীয় পরিয়ে দেন একাডেমির পরিচালক দীপক বড়ুয়া, কাঞ্চনা চক্রবর্তী ও জাহাঙ্গীর মিঞা। সংবর্ধিত লেখকদের হাতে রাশেদ রউফ রচিত ‘লেখক সারথি’ তুলে দেন রাদিয়া প্রকাশনের কর্ণধার সৈয়দা সেলিমা আক্তার ও গোফরান উদ্দীন টিটু। তিন কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন কঙ্কনা দাস, সনজীব বড়ুয়া ও প্রণব চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৃন্দআবৃত্তি পরিবেশন করেন উঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।