ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক সিনেমা ভূমিকা রেখেছে: তথ্যমন্ত্রী  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক সিনেমা ভূমিকা রেখেছে: তথ্যমন্ত্রী   বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক সিনেমা ভূমিকা রেখেছে। মানুষকে নির্মল আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি একই সঙ্গে দেশ গঠন করার ক্ষেত্রেও সিনেমা ভূমিকা রাখে।

 

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের অনেক সিনেমা দেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ‘ওরা এগারজন’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এই যে সিনেমাগুলো আমাদের দেশ গঠন করার কাজে ভূমিকা রেখেছে।

সিনেমা শিল্প মানুষকে আনন্দ দেওয়া, নতুন এবং তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।  

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের চকবাজার বালি আর্কেডে স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বালি আর্কেডের পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ, প্রধান নির্বাহী আফতাব আলম শেঠ। স্বাগত বক্তব্য দেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলা সিনেমা অনেক চড়াই-উতরায় পেরিয়েছে। আমরা অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সিনেমা শিল্প অনেকদূর এগিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি, গত অক্টোবরে কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব হয়েছে। সেখানে ‘হাওয়া’ মুভি দেখতে টিকিটের জন্য মানুষ এক কিলোমিটার লাইন ধরেছে। দুপুর দুইটায় শো শুরু হবে, সকাল ৯টা থেকে লাইন ধরেছে। এমন দৃশ্য আমিও ভাবিনি।  

তিনি বলেন, আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন চট্টগ্রাম শহরে ৩০টির মতো সিনেমা হল ছিল। এগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আশার কথা হচ্ছে গত এক বছরে করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া দুইশ’ সিনেমা হল নতুন ভাবে চালু হয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্সসহ আরো অনেক সিনেপ্লেক্স নতুনভাবে চালু হচ্ছে।  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য, সিনেমা হল নির্মাণের জন্য, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো হল নতুন ভাবে চালু করার উদ্দেশ্যে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল চালু করেছে। সিনেমার অনুদানের অর্থ বাড়িয়েছে। আগে যেখানে ৪০ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দেওয়া হতো সেটি আমরা ৭৫ লাখ টাকায় উন্নীত করেছি এবং সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আমাদের অনেক সিনেমা বিশ্বাঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন নামকরা পুরস্কার লাভ করেছে আমাদের সিনেমা।  

তিনি বলেন, সিনেমা মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়, আমাদের নতুন প্রজন্মকে জীবন গড়তে শেখাবে। নতুন প্রজন্মকে প্রত্যয়ী হবার শিক্ষা দেবে। সিনেমা এমন একটি মাধ্যম যেখানে মানুষ কাঁদে, হাসে এবং ভাবে। আবার স্বপ্নও দেখে।  

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র তারকা রাজ ও পরীমণি।  

স্টার সিনেপ্লেক্সের এই শাখায় তিনটি হল রয়েছে। যার আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৮৬ (হল-১), ১৯৬ (হল-২) এবং ১২৫ (হল-৩)।  

বরাবরের মতো নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্বলিত সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েই নির্মিত হয়েছে হলগুলো।

>> বিজয়ের মাসে চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের যাত্রা শুরু
>> সবার সম্মতি থাকলে ভারতীয় সিনেমা আসবে: তথ্যমন্ত্রী
>> ১০০ সিনেমা হল করাই সিনেপ্লেক্সের লক্ষ্য: রুহেল
>> রাজ-পরীকে পেয়ে চট্টগ্রামবাসীর উল্লাস

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২,২০২২ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।