ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিসিএল ফাইনাল

নায়ক হওয়ার কাছে গিয়েও হতে পারলেন না নাসির

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
নায়ক হওয়ার কাছে গিয়েও হতে পারলেন না নাসির

ভারতের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে তাড়াহুড়ো করেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ। ফাইনালে এনামুল হক বিজয় প্রস্তুতি নিলেন ভালোভাবেই।

দাবি রাখলেন একাদশে জায়গা পাওয়ার। দারুণ সব শট খেললেন তিনি। বেড়িয়ে যাওয়া ম্যাচে এরপর আবার রোমাঞ্চ ছড়ালেন নাসির হোসেন ও নাসুম আহমেদ। তারাও অবশ্য পারেননি দলকে জেতাতে।  

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলকে ৩ রানে হারিয়েছে উত্তরাঞ্চল। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পায় তারা। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণাঞ্চল।  

২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল উত্তরাঞ্চল। দারুণ দুই শট খেলে নাঈম শেখ আউট হয়ে যান ১১ রান করে। ২৪ বলে এই ব্যাটার হন রান আউট। এই ধাক্কা জাকির হোসেনকে নিয়ে সামলে নিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। দুজন মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি।  

কিন্তু আবারও দক্ষিণাঞ্চলের জন্য ধাক্কা হয় রান আউট। এবার দারুণ ব্যাট করতে থাকা জাকির হোসেন আউট হন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ বলে ৪২ রান করে। তার বিদায়ের পরই ভেঙে পড়ে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং। রাকিবুলের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান বিজয়। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৯ রান করে আউট করেন তিনি।  

তার বিদায়ের পর নাঈম ইসলাম, তৌহিদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ তিনজনই আউট হয়ে যান শূন্য রান করে। জয়ের আশাও প্রায় শেষ হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের। সেখান থেকে দলকে জাগিয়ে তুলেন নাসির হোসেন ও নাসুম আহমেদ। দুজন মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৫ রান। রাকিবুল হাসানের বলে ৩৮ রান করে রিপন মণ্ডলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নাসুম।

এরপরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির হোসেন। দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে। একপ্রান্ত আগলে ছিলেন নায়ক হওয়ার পথে। শেষ ওভারে যখন ১০ রানের সমীকরণ, ঠিক তখনই রান আউটে কাটা পড়ে যান নাসির। শামীমের দারুণ থ্রোয়ে আউট হওয়ার আগে ৮৮ বলে ৪টি চারে ৬১ রান করেন তিনি। শেষও ওভারে ৭ রান নিতে পারে দক্ষিণাঞ্চল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন ওয়ানডে দল ও উত্তরাঞ্চলের ওপেনার লিটন দাস। বিসিএলের আগের দুই ম্যাচে রান পাননি। ফাইনালে উত্তরাঞ্চলের হয়ে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল খেলে কেবল ১ রান করে সাজঘরে ফেরত গেছেন তিনি। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন লিটন।  

শরিফুল পেয়েছেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার শাহাদাৎ হোসেন দ্বীপুর উইকেটও। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটারও ৭ বলে ৪ রান করে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিলেন সৈকত আলি। কিন্তু ৩০ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় তাকে।  

৪৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের ৭৮ রানের জুটি ভাঙে নাসির হোসেনের বলে রিয়াদ বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।  

ফিফটি তুলে নেওয়া ফজলে মাহমুদ ১১৪ বলে ৬৫ রান করে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। এদিন রান পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলী। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৪৪ রান করেছেন তিনি। যুব দলে তার আরেক সতীর্থ শামীম পাটোয়ারীর ব্যাটেও দেখা মিলেছে রানের।  

সুইপ, স্কুপ, রিভার্স স্কুপসহ আক্রমণাত্মক সব শট খেলেন তিনি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়েছেন শরিফুল ইসলামের বলে। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন শরিফুল ইসলাম ও মিরাজ। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৪ রানে তিন উইকেট নেন শরিফুল। ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন মিরাজ।  

বাংলাদেশ সময় : ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।