ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

উইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
উইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। বড় উদ্বোধনী জুটির পর বিশাল সংগ্রহ, একজনের সেঞ্চুরির পাশাপাশি আরেকজনের বিধ্বংসী ইনিংস; এতকিছুর পরও জিততে পারেনি তারা।

চার ফিফটিতে তিনশ রান পার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হারা নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ৫০ রানে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নেয় টম লাথামের দল।  

বারবাডোজে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার শাই হোপ ও কাইল মেয়ার্সের ব্যাটে ছুটতে থাকে দলটি। যদিও শাই হোপ ধীরগতিতে এগোচ্ছিলেন, কিন্তু মেয়ার্সের ব্যাট থামছিল না কোনোভাবেই। এরই ধারাবাহিকতায় ১০৬ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন এই ওপেনার। অপরপ্রান্তে থাকা শাই হোপ তখন ফিফটি হাঁকান ৯৫ বলে। ১৭৩ রানের দারুণ জুটির পর অবশেষে ৩৫তম ওভারে উইকেট হারান হোপ।

১০০ বলে ৫১ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে লুকি ফার্গুসনকে ক্যাচ তুলে দেন ক্যারিবিয় ওপেনার। পরের ওভারেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উইকেট হারান আরেক ওপেনার মেয়ার্স। ৩ ছক্কা ও ১২ চারে তিনি খেলেন ১০৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। বিস্ফোরক ইনিংস খেলতে তিনে ব্যাটিংয়ে নামেন নিকোলাস পুরান। অপরপ্রান্তে যখন ব্যাটারদের আসা যাওয়া চলছিল, তখন একপ্রান্তে চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরছিল ক্যারিবিয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে।  

৫৫ বলে ৯১ রান করে শেষদিকে বিদায় নেন তিনি। পরে আলজারি জোসেফের ৬ বলে ২০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩০১ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরকারীদের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন বোল্ট। জোড়া উইকেট শিকার করেন মিচেল স্যান্টনার।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর অবশ্য মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়ের ৮২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ৬৪ বলে ৫৭ রান করে গাপটিলের ফেরার পর কনওয়ে বিদায় নেন ৬৩ বলে ৫৬ করে। চতুর্থ উইকেটে আরও বড় জুটি গড়েন লাথাম ও ড্যারিয়েল মিচেল। তাদের ১০৩ বলে ১০২ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়।

শেষদিকে ৪৯ বলে ৬৩ করে আউট হন মিচেলের বিদায়ের পর ৭৫ বলে ৬৯ করে ফেরেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লাথামও। তাদের অসমাপ্ত কাজ সহজেই সম্পন্ন করেন জিমি নিশাম। ৪ ছক্কায় ১১ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ১৭ বল বাকি থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।