ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

সাকিবের ফিফটিতে মান বাঁচানো সংগ্রহ বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
সাকিবের ফিফটিতে মান বাঁচানো সংগ্রহ বাংলাদেশের

ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরার তাড়াটা কেন? এর জবাব তারাই ভালো দিতে পারবেন। এমনিতে উইকেটে ঘাস আছে, খেলাটা তাই কঠিনই।

কিন্তু যেভাবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সাজঘরের পথ ধরলেন, ততটাও নিশ্চয়ই নয়!

লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েও সাজঘরে ফিরেছেন দুজন, একজন শটই খেলেননি আউট হওয়া বলে। অদ্ভূতুড়ে ব্যাটিংয়ের সাক্ষী আরও একবার হলো দেশের ক্রিকেটে। টিভিতে খেলা দেখানো হচ্ছে না বলে জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারেনি, কিন্তু যারা কষ্ট বা পকেটের পয়সা খরচ করে খেলা দেখেছেন; তাদের বিরক্তি নিশ্চয়ই চরম আকার ধারণ করেছে।  

অ্যান্টিগায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে লড়াইটা একাই করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, তিনি পেয়েছেন ফিফটি।  

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার আরম্ভ হয় মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়ে। ইনিংসের শুরুতেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। কেমার রোচের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল বুঝতেই পারেননি জয়। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন এনক্রমাহ বোনারের হাতে।  

একই পথের পথিক হন নাজমুল হোসেন শান্তও। রোচের বলে স্টাম্প উপড়ে যায় তার। শান্ত ৫ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন। রান করতে পারেননি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া মুমিনুল হকও। শান্তর চেয়ে ১ বল বেশি খেলে সিলস্ এর বলে ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার।

এরপর লিটন দাসের ব্যাটে আশার আলোই দেখা মিলেছিল, খেলে ফেলেছিলেন ৩৩ বল, তার সঙ্গী ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু কাইল মায়ার্সের একটি ওভারই এলোমেলো করে দেয় সব আয়োজন।

নিজের প্রথম ওভারে এসে তিনটি বল তিন লেন্থে করেন মায়ার্স। চতুর্থ বলে এক পা এগিয়ে খেলতে এসেছিলেন লিটন, কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে সেটা চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে।   ৩৩ বলে ১২ রান করেন তিনি।

ওই ওভারেই ফেরেন নুরুল হাসান সোহানও। তিনিও এক পা এগিয়ে আসেন, তবে কোনো শটই খেলেননি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি রানের খাতা খুলতে না পারা সোহান।

অন্যদিকে ক্রিজে থাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ১ চার ও ছক্কায় ৩৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্নোভোজের বিরতিতে যান তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ তখন অপরাজিত ২১ বলে ২ রান করে।  

কিন্তু বিরতি থেকে ফিরেই আবার খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। সিলসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ২২ বলে ২ রান করে আউট হন মিরাজ।

সাকিব তখনও চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের স্বভাব সুলভ ব্যাটিং। বড়ও শট খেলছিলেন নিয়মিত। এর মধ্যে পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু ফিফটির ঠিক পরই আলজেরি জোসেফের একটি বল তুলে মারতে গিয়ে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ বলে ৫১ রান করেন তিনি।

সাকিবের বিদায়ের পর বাংলাদেশেরও অলআউট হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। স্বাগতিকদের পক্ষে ৩ উইকেট করে নিয়েছেন আলজেরি জোসেফ ও জাইডন সিলস। এছাড়া ‍দুই উইকেট করে পেয়েছেন কেমার রোচ ও কাইল মেয়ার্স।

বাংলাদেশ সময় : ২৩৩১, জুন ১৬, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।