ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

শোয়েব-গায়েনের বন্ধুত্বের রসায়ন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
শোয়েব-গায়েনের বন্ধুত্বের রসায়ন 

দেশ ভিন্ন, ভিন্ন ভাষাও। তবুও তাদের জনের বেশ মিল।

দুই জনই সমর্থক। তবে ভিন্ন দলের। মাঠের ক্রিকেটে দুই দল প্রতিপক্ষ হলেও তারা দুই জনই সমান তালে নিজেদের দলকে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন নির্দ্বিধায়। পাশাপাশি বসে নিজের দলের পতাকা হাতে তারা।  

দৃশ্যটি সোমবার (১৬ মে) চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দলের দুই ভক্তের। বলছি বাংলাদেশী সমর্থক শোয়েব আলী ও শ্রীলঙ্কান সমর্থক গায়েন সেনানায়েকের কথা। মাঠের ক্রিকেটে যতটা প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল, মাঠের বাহিরে ঠিক ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এ দুই ভক্তের।  

দুপুরে এক সঙ্গে বসে মধ্যহ্ন ভোজ কিংবা বিকেলের নাস্তা সবই করেন এক সঙ্গে। কথা হয় ক্রিকেট পাগল এ দুই ভক্তের সঙ্গে। তারা জানান, তাদের বন্ধুত্বের রসায়নের গল্প। বাংলাদেশে গায়েনের ভরসার নাম শোয়েব।

শোয়েব আলী বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৪ তারিখ বাংলাদেশে এসেছেন গায়েন। এখানে আসার পর লঙ্কান নাগরিক এক ব্যক্তির বাড়িতে উঠেছেন তিনি। তবে মাঠে এলেই সার্বক্ষ্মনিক থাকেন আমার সঙ্গে। আমি চেষ্টা করি তাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে। সেও খুব ভালো।  

মাঠে খাবারের ব্যবস্থা কি জানতে চাইলে শোয়েব বলেন, আমি যখন মাঠে আছি তখন খাবারের সমস্যা হয় নেই। আমি যা খাই তাকেও তাই খেতে দিই। শ্রীলঙ্কা গেলে তিনিও আমাদের বেশ সহযোগীতা করেন।  

শ্রীলঙ্কা থেকে ছুটে আসা গায়েনের মাঠে সার্থক হলেও আক্ষেপও কম নয়। দলের ৩৯৭ রানের স্কোর দিন শেষে স্বস্তি দিয়েছে তাকে। তবে এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরির দেখা না পাওয়ার আক্ষেপ ম্যাথিউসের সঙ্গে পোড়াচ্ছে তাকেও।  

গায়েন বলেন, আর একটা রান হলে ম্যাথিউসের দ্বিশত পূর্ণ হতো। কিন্তু হলো না। বিষয়টি বেশ আক্ষেপের। তবে যাই হোক ম্যচটা যাতে শ্রীলঙ্কাই জিতে।

শোয়েব আলী সম্পর্কে জনাতে চাইলে গায়েনের উত্তর, শোয়েব আমাকে বেশ সহযোগীতা করে। আমি বাংলাদেশের আসার পর তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার সব ধরণের সহযোগীতা আমি পাই। সে খুবই ভালো মনের মানুষ।  

দেশের অস্থিরতা মধ্যেও বাংলাদেশে কিভাবে আসা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসতে ১ হাজার ডলারের মত লাগে। কিন্তু আমার কাছে ওই টাকাও ছিল না। আমাকে খেলা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন ডিএম ব্রাদার্স নামে একটি স্পন্সর কোম্পানি। তাদের সহযোগীতা না থাকলে আমি এখানে আসতে পারতাম না। বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাজিব দীনের প্রতি। তিনি আমার বিমানের টিকিট থেকে শুরু করে সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।  

২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেন গায়েন। এই নিয়ে ৭ বার আসা হয়েছে এদেশে। পরিচয় আছে সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন থেকে শুরু করে বর্তমান মুশফিক, মুমিনুলদের সঙ্গে।  

বাংলদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমআর/টিসি/এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।