ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ফিফটি বঞ্চিত হয়ে ফিরলেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
ফিফটি বঞ্চিত হয়ে ফিরলেন তামিম

দক্ষিণ আফ্রিকার রান পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। দুজনে মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ফিফটির দিকেও ছুটছিলেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা তামিম। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৭ রানে মুলডারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লেন এই বাঁহাতি ওপেনার।  

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে ডুয়ানে অলিভিয়েরের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো সারেল এরউইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে রানের খাতাও খুলতে পারেননি আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মাহমুদুল হাসান জয়। এরপরই হাল ধরেন তামিম ও শান্ত। শান্ত কিছুটা শান্তভাবে ব্যাট করলেও তামিম ব্যাট চালান আগ্রাসী ভঙ্গীতে। ৫৭ বলে ৪৭ রান করে মুলডারের বলে লেগ বিফোর হওয়ার আগে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৮টি।

এর আগে তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিং সত্ত্বেও বাংলাদেশের বাকি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৪৫৩ রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিকরা।

পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। আর দিনের প্রথম ওভারেই রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। ওভারের শেষ বল কাইল ভেরেইনের প্যাডে লাগলে লেগ বিফোরের আবেদন করেন বোলার ও ফিল্ডাররা। আম্পায়ার সাড়া না দিলে খালেদের জোরাজুরিতেই রিভিও নেন অধিনায়ক মুমিনুল। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্ট্যাম্প মিস করতো।  

রিভিউ নষ্ট করার পর অবশ্য দিনের প্রথম ব্রেক থ্রুটা আসে খালেদের হাত ধরেই। তার গুড লেন্থের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন দ. আফ্রিকার লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার কাইল ভেরেইনে (২২)। কিন্তু ভেরেইনার বিদায়ের পর যেন সাপে বর হয় স্বাগতিকদের জন্য। কারণ এরপর মহারাজ ও মুলডার মিলে গড়েছেন ৮০ রানের দারুণ এক জুটি। মহারাজ মাত্র ৫০ বলে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। এক ওভার পরেই অবশ্য মুলডারকে বিদায় করে জুটি ভাঙেন তাইজুল। মুলডার এগিয় এসে খেলতে চাইলে বল অফ-স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ৭৭ বল স্থায়ী মুলডারের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা সংগ্রহ করে ১০৬ রান।

দ্বিতীয় সেশনেও আগের গতিতেই রান তুলছিলেন মহারাজ। বিশেষ করে তার তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। ঝড়ের গতিতে রান তোলার পাশাপাশি সেঞ্চুরির দিকেও ছুটছিলেন মহারাজ। তবে সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরত্বে তাকে থামিয়ে দেন তাইজুল। তার বলে সুইপ খেলতে গেলে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয় বল। ৯৫ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৪ রান করেন মহারাজ। তাকে বিদায় করে ম্যাচে নিজের পঞ্চম উইকেটের দেখা পান তাইজুল।  এই নিয়ে সাদা পোশাকে ১০ বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন তিনি। টেস্টে ১৮ বার ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশিদের মাঝে শীর্ষে সাকিব আল হাসান।

মহারাজ বিদায় নিলেও লিজাড উইলিয়ামসকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়েন হার্মার। দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৫ রান। হার্মারকে থামান তাইজুল। তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন হার্মার (২৯)। অনেকটা সময় রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। সেই সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫০তম উইকেটের দেখা পান তাইজুল। পরের ওভারে লিজাডকে (১৩) ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস গুঁটিয়ে দেন মিরাজ।  

বল হাতে তাইজুল ৬টি, খালেদ ৩টি ও মিরাজ ১টি উইকেট নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।